২০ মার্চ ২০১৬: অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে নিষিদ্ধ তাসকিন আহমেদ— এমন খবর প্রকাশের সাথে সাথে রীতিমতো প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যায়। প্রতিবাদ হতে থাকে বাংলাদেশের সর্বস্তরে। বসে নেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি)। পেসার তাসকিন আহমেদকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে পেতে শুধু আপিল নয়, ক্রিকেট কূটনীতিকেও কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাটি। আর এই ক্রিকেট কূটনীতির পথে এরই মধ্যে আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর ও প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসনের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে বিসিবি সভাপতির।
তাসকিনের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে করণীয় ঠিক করতে আজ রোববার সকালে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের গুলশানের বাসায় এক বৈঠকে বসেছিলেন বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তারা। আইনজীবীদের পরামর্শে এই বৈঠকেই তাসকিনের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আবেদনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। আইসিসির বিরদ্ধে আপিল করা ছাড়াও সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস নেন সভাপতি পাপন। বৈঠক শেষে নাজমুল হোসেন পাপন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে সাধারণ প্রক্রিয়ার বাইরেও চেষ্টা করছে বিসিবি। সাধারণ প্রক্রিয়া হলো বিষয়টি নিয়ে আপিল করা। কিন্তু সেটি শেষ হতে একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। বিসিবি তাই ক্রিকেটীয় কূটনীতির পথও খোলা রাখছে।
বিসিবি সভাপতি এরই মধ্যে আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর ও প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। এছাড়াও তিনি জানান, আইসিসির কাছে জানার পর থেকেই পুরো বিষয়টি নিয়ে তারা আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছেন। করণীয় ঠিক করেছেন। বিষয়টি নিয়ে বিসিবি আর সবার মতোই উদ্বিগ্ন। কিন্তু বিসিবির প্রতিক্রিয়া জানানোর প্রক্রিয়া আর সবার মতো হবে না। সেটার আনুষ্ঠানিক কিছু প্রক্রিয়া আছে। তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানি নিষিদ্ধ হওয়ার পর বিসিবির আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পেতে দেরি হওয়ায় ক্রিকেট সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ আছে। এ নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘বিসিবি কী করছে তা জানতে সমর্থকদের মধ্যে একটা উদ্বেগ থাকাই স্বাভাবিক। তবে কোনো দেশের বোলার নিষিদ্ধ হওয়ার পর এখন পর্যন্ত যত দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, এবারের মতো কেউ নেয়নি।’