০২ মার্চ ২০১৬: ২০তম ওভারের প্রথম বলে আনোয়ার আলীকে চার মেরে জয় নিশ্চিত করেন মাহমুদুল্লাহ। ২০১২ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের সঙ্গে হেরেছিল টাইগাররা। নেয়া হলো ওই ম্যাচের প্রতিশোধও। ম্যাচের সব বিভাগেই আফ্রিদি বাহিনীকে চুরমার করে সত্যিকারের সেনাপতির মতোই মাঠ ছাড়লেন দলপতি মাশরাফি।
১৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ শুরুটাও করেছিল আগ্রাসী ভঙ্গিতে। মোহাম্মদ আমিরের বলে দারুণ এক ছয় মেরে লম্বা ইনিংস খেলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। শেষপর্যন্ত অবশ্য খুব বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি এই বাঁহাতি ওপেনার। আউট হয়ে গেছেন ৭ রান করে। দ্বিতীয় উইকেটে ৩৩ রানের জুটি গড়ে ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার ও সাব্বির। নবম ওভারে সাব্বিরকে বোল্ড করেছেন আফ্রিদি। ১৪ রান করে ফিরেছেন সাব্বির। তৃতীয় উইকেটে মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে আবার ৩৭ রানের জুটি গড়েছিলেন সৌম্য।
১৪তম ওভারে দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে দারুণ এক ডেভিভারিতে সৌম্যকে বোল্ড করেছেন আমির। ৪৮ রান করে ফিরেছেন সৌম্য। পরের ওভারে মুশফিকও ১২ রান করে আউট হয়ে গেলে কিছুটা চাপের মুখেই পড়ে যায় বাংলাদেশ। ১৮তম ওভারে আমিরের দারুণ ইয়র্কারে সাকিবও বোল্ড হয়ে গেলে পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকে ম্যাচের ভাগ্য। কিন্তু জয়ের এত কাছে এসে আর আক্ষেপ করতে চাননি মাহমুদউল্লাহ ও মাশরাফি। ষষ্ঠ উইকেটে ২৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন এই দুই ব্যাটসম্যান। এই ২৭ রান তাঁরা করেছেন মাত্র ১১ বল খেলে।
বাংলাদেশের পক্ষে দারুণ বোলিং করে তিনটি উইকেট নিয়েছেন আল-আমিন হোসেন। দুইটি উইকেট গেছে আরাফাত সানির ঝুলিতে। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৪ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ।
এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেন পাকিস্তান অধিনায়ক শহীদ আাফ্রিদি। মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দুটি পরিবর্তন বাংলাদেশ দলে । একাদশে ফেরেন তামিম ইকবাল। বাদ পড়েছেন নুরুল হাসান সোহান। আর মুস্তাফিজের পরিবর্তে দলে নেয়া হয়েছে স্পিনার আরাফাত সানিকে। অপরদিকে পাকিস্তান দলে মোহাম্মদ নওয়াজের পরিবর্তে ফিরেছেন আনওয়ার আলী। এ ম্যাচে জিতলেই ফাইনালে খেলা নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের। আসরে শ্রীলঙ্কা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে জয় দেখেছে টাইগাররা।