ব্রেকিং নিউজ
Home / প্রচ্ছদ / প্রশ্নপত্র ফাঁস করে উত্তর তৈরির সময় ১১ শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রশ্নপত্র ফাঁস করে উত্তর তৈরির সময় ১১ শিক্ষক গ্রেপ্তার

২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬: রাজশাহীর বাঘায় মাধ্যমিক পরীক্ষার (এসএসসি) প্রশ্নপত্র ফাঁস করে উত্তর সরবরাহের জন্য লেখার সময় ১১ জন শিক্ষক ও এক বহিরাগত শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই শিক্ষকদের মধ্যে দুজন প্রধান শিক্ষক।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাঘা উপজেলা সদরের বাঘা ইসলামী একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গণিত বিষয়ে পরীক্ষা চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। বিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কার্যালয় থেকে ওই ১২ জনকে আটক করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে নিয়মিত মামলা দিয়ে তাঁদের কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

Proshnopotro1গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বাঘার জোতনাশী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিন্নাত আলী, বানিয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন, জোতনাশী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জিল্লুর রহমান ও ফারুক হোসেন, দাদপুর গড়গড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, খানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জিল্লুর ইসলাম, চণ্ডীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী  শিক্ষক আক্তারুজ্জামান ও শাপলা খাতুন, বারোখাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর মোল্লা, পলাশী ফতেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, তেপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাখাওয়াত এবং বহিরাগত শিক্ষার্থী সাকিব হোসেন।

বাঘা ইসলামী একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব আব্দুল কাদের জানান, পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে তিনি ওই বিদ্যালয়ের সহকারী কম্পিউটার শিক্ষক রফিকুল ইসলামকে বাঘা থানা থেকে প্রশ্নপত্র কেন্দ্রে আনার দায়িত্ব দেন। কিন্তু থানা থেকে প্রশ্নপত্র নিয়ে আসার পথে তিনি একটি প্রশ্নপত্র আটককৃত শিক্ষকদের সরবরাহ করেন। ওই শিক্ষকরা অর্থের বিনিময়ে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র দেখে উত্তর তৈরি করে সেগুলো নির্দিষ্ট কিছু শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দিচ্ছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ওই ১২ জনকে আটক করেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক রফিকুল ইসলাম পলাতক বলে জানা গেছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিমুল আক্তার বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা করে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে বলা হয়েছে।’

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল সকাল ১০টা থেকে বাঘা ইসলামী একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয়ে গণিত পরীক্ষা শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পরই বিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত প্রচেষ্টা ৯২ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কার্যালয়ে বসে প্রশ্নপত্র দেখে নকল তৈরি করে তা কেন্দ্রে কয়েকজন পরীক্ষার্থীকে পাঠানো হচ্ছিল। বাঘা থানার ওসি আলী মাহমুদ বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে পাবলিক পরীক্ষা আইন ১৯৯২-এর ৪ ধারায় মামলা করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 সূত্র: কালের কন্ঠ