২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: জাতীয় পার্টিই বাংলাদেশে সর্বপ্রথম সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন করেছে বলে দাবি করেছেন দলটির চেয়ারম্যান এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে তাঁর লেখা আত্মজীবনীমূলক ‘আমার কর্ম আমার জীবন’ শীর্ষক গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে তিনি এ দাবি করেন।
প্রায় ৯০০ পৃষ্ঠার ওই বইটিতে এরশাদ তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মময় এবং ব্যক্তি জীবনের নানা দিক উল্লেখ করেছেন। প্রকশানা উৎসবে বইটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এই বইয়ের প্রতিটি কথা সত্য কথা। কীভাবে আমি স্বৈরাচার হলাম, কেন স্বৈরাচার হলাম। আমি এখনো বলি, যদি আমার মতো আরো স্বৈরাচারের জন্ম হতো তাহলে বাংলাদেশের আরো উন্নতি হতো। আমি যে কাজগুলো করেছিলাম তা স্বৈরাচারের কাজ। স্মৃতিসৌধ করেছিলাম সেটিও কি স্বৈরাচারের কাজ?’
এরশাদ আরো বলেন, ‘আশির দশকে আমি ক্ষমতায় না গেলে বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশের উন্নীত হতে পারত না।’
তবে এই বইটিতে এরশাদের জীবনের নানা আলোচিত ঘটনার কথা উল্লেখ নেই। মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও এরশাদ সরকারের সাবেক ট্যাকনোক্রেট মন্ত্রী ড. মিজানুর রহমান শেলীর বক্তব্যেও উঠে আসে এরশাদের এসব কথা। শেলী বলেন, এরশাদ সাহেব তার জীবন সম্পর্কে যতটুকু লিখেছেন, তারচেয়ে বেশি লিখেছেন নিজের কর্ম সম্পর্কে। যদিও কর্মই জীবন। তবে এটা কোনো সাধারণ গ্রন্থ নয়। এটা ইতিহাসের জবানবন্দী। এরশাদ সাহেব তার বইতে অনেক প্রশ্নের উত্তর দেননি। দিতে পারেননি। দেয়া সম্ভব হয়নি। সবকিছু তিনি লিখতে পারেননি। তিনি আরও বলেন, ভারতের প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি আবুল কালাম আজাদের মৃত্যুর পর প্রকাশিত জীবনীতে অনেক সত্য কথা উঠে এসেছে। ঠিক এই রকম আমরাও আশা করবো- তিনি যা লিখতে পারেননি, তা যেন তার মৃত্যুর পর আরেকটি গ্রন্থে উঠে আসে। সেদিন মানুষ জানতে পারবে আসল সত্যি কি ছিল? মিজানুর রহমান শেলী এরশাদকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, স্যার আপনি সেটা ঠিক করে যাবেন সেই গ্রন্থটি কবে বের হবে। আপনার মৃত্যুর পাঁচ বছর পরে, নাকি ১০ বছর পরে। তবে আপনার আত্মজীবনী’র দ্বিতীয় গ্রন্থ আকাঙ্খা হিসেবে থেকে যাবে।