২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৬:
জীবন যাপনের মানের দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বসবাসযোগ্য শহরের তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা। আর এ তালিকায় সবার নিচে রয়েছে ইরাকের রাজধানী বাগদাদ। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কভিত্তিক পরামর্শ সেবাদানকারী সংস্থা মার্সারের করা ‘এইটিনথ কোয়ালিটি অব লাইফ র্যাঙ্কিং’ শীর্ষক তালিকায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবছরের মতো ২৩০টি শহরের ওপর চালানো এ জরিপে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা রয়েছে তালিকার একেবারে তলানির দিকে- ২২৪ নম্বরে। গত বছরের তুলনায় ২০ ধাপ পিছিয়েছে ঢাকা। গত বছর শহরটির অবস্থান ছিল ২০৪ নম্বরে।
জীবন-যাপনের মানের বিভিন্ন দিক বিবেচনায় প্রতিবছর বিশ্বের সেরা শহরের একটি তালিকা তৈরি করে এ সংস্থা। চলতি বছরে এ তালিকার শীর্ষস্থানে রয়েছে ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা। এছাড়া এ তালিকায় নিউ ইয়র্ক, প্যারিস এবং লণ্ডনের মতো শহরগুলো শীর্ষ ৩৫-এ ও নেই বলে জানানো হয়েছে।
ভিয়েনার সুগঠিত নগর কাঠামো, নিরাপদ রাস্তাঘাট আর ভালো গণস্বাস্থ্য সেবা শহরটিকে বসবাসের জন্য বিশ্বের সেরা শহরে পরিণত করে তুলেছে বলে প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয়। অস্ট্রিয়ার এ রাজধানীর বাড়িঘরগুলো এখনো ঐতিহ্যের ছোঁয়া নিয়ে মাথা উঁচু করে আছে। শহরের বাসিন্দাদের একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশের নিশ্চয়তা দিচ্ছে নগর-উদ্যান। রয়েছে সাইকেল আরোহীদের জন্য বিশেষ রাস্তাঘাট। সম্প্রতি এ শহরের গণপরিবহনের ভাড়াও কমানো হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মার্সারের প্রতিবেদনে আরো জানানো হয়, ভিয়েনায় বড় ধরনের অপরাধ নেই। শহরের বাসিন্দার সংখ্যা ১৭ লাখ। তা সত্ত্বেও বিশ্বের অন্যান্য শহরের তুলনায় এ শহর আশ্চর্য রকমের শান্ত।
বসবাসযোগ্য শীর্ষ ১০ শহরে জার্মানির একাধিক শহরের নাম উঠে এসেছে। ভিয়েনার পর পরই রয়েছে সুইজারল্যান্ডের জুরিখ শহর। এর পরই রয়েছে জার্মানির মিউনিখ, ডুসেলডর্ফ ও ফ্রাঙ্কফুর্ট। এ ছাড়া ইউরোপের বাইরের দুটি শহর অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও ভ্যানকুভারও শীর্ষ দশে রয়েছে।
তবে ইউরোপের এসব শহর সবসময়ই যে বসবাসের জন্য খুব ভালোর তালিকায় থাকবে এমনটা অবশ্য মনে করছে না মার্সা। কেননা আর্থিক মন্দার কারণে দ্রুত বদলাতে পারে পরিস্থিতি, এমনটাই মনে করছে সংস্থাটি। মার্সার বসবাস উপযোগী শহরের তালিকা প্রস্তুতির পাশাপাশি, নাগরিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিবেচনায়ও একটি তালিকা তৈরি করেছে। এ তালিকায় সবার ওপরে অবস্থান বেলজিয়ামের পাশে ইউরোপের একটি ছোট্ট দেশ লুক্সেমবার্গের।
সামাজিক ও আর্থিক, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আবাসনসহ পরিবেশ বিবেচনা করে বসবাসযোগ্য শহরের তালিকা তৈরি করেছে মার্সার। এ ছাড়া এসব শহরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মীদের কী পরিমাণ মজুরি দেওয়া হয় সে বিষয়গুলোও এতে বিবেচনা করা হয়েছে।