১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: জেলে ১১ মাস কাটানোর অনুভূতি কেমন তা দেশের শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার-এর সম্পাদক মাহফুজ আনামের জানা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
আজ শুক্রবার সকালে ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এক স্ট্যাটাসে এমন মন্তব্য করেন জয়। এতে তিনি মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে মামলা করাটা গণমাধ্যমের ওপর আঘাত নয় বলে উল্লেখ করেন।
জয় বলেন, ‘এটা গণমাধ্যমের ওপর আঘাত নয়। এটা ফৌজদারি মামলাও নয়। এটা হলো দেওয়ানি মামলা। আধুনিক আইনি ব্যবস্থাসম্পন্ন সব দেশেই এটা ঘটে। আপনি যদি কারো ক্ষতি করেন, সংক্ষুব্ধ পক্ষের আপনার বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলা করার সব ধরনের অধিকার রয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী ছেলে তাঁল স্ট্যাটাসে আরো বলেন, “আমাদের ‘সুশীল সমাজ’-এর কিছু অংশ এবং কিছু সংবাদপত্রের সম্পাদক আমার মায়ের বিরুদ্ধে মাহফুজ আনাম কর্তৃক চালানো মিথ্যা সাজানো প্রচারণার স্বীকারোক্তির পর তার বিরুদ্ধে হওয়া দেওয়ানি মানহানির মামলাগুলোর সমালোচনা করছেন। আমাদের সরকার তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও দায়ের করেনি। মামলাগুলো সবই দেওয়ানি প্রকৃতির, যা খেসারত এবং আর্থিক ক্ষতিপূরণের দাবিতে দায়ের করা।’
“তাই আমি জানতে চাই, যা কিছু ঘটেছে তাতে গণমাধ্যমকে দায়মুক্তি দেওয়া যায় কি না? মাহফুজ আনাম স্বীকার করেছেন কেবল একটিই নয়, এসব মিথ্যা কাহিনী ধারাবাহিকভাবে তিনি আমার মায়ের বিরুদ্ধে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা এবং একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চালিয়েছেন। তার কর্মকাণ্ডের ফলে আমার মা তাঁর এই বয়সে ১১ মাস জেলে কাটিয়েছেন। এত সবকিছুর পর তিনি বলেন, ‘ওহহো, আমার ভুল হয়েছে!’ এবং আমাদের সেসব ভুলে যেয়ে এগুতে হবে? আমার মা, আমার পরিবার এবং আমাদের দল আওয়ামী লীগের পক্ষে কোনোই বিচার থাকবে না? সেখানে কোনোই জবাবদিহিতা থাকা উচিত না?’
সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘রাজনীতিকদের আইন মেনে চলতে হবে নয়তো জেলে যেতে হবে, পুলিশকে আইন মেনে চলতে হবে নতুবা জেলে যেতে হবে, কিন্তু মিথ্যা কাহিনী লেখার জন্য কোনো আইন থাকবে না। দেওয়ানি আইনে রাজনীতিক এবং বিখ্যাত ব্যক্তিত্বের একমাত্র আশ্রয় হচ্ছে ক্ষতিপূরণ চাওয়া। অন্য কিছু যদি নাও হয়, শুধুমাত্র উকিল খরচ এবং আদালতে যাওয়ার সময় বিবেচনায় একজন সাংবাদিককে মিথ্যা ছাপানো এবং অন্যের সুনাম ক্ষুণ্ণের আগে দ্বিতীয়বার ভাবানো উচিত। যদিও, এই গোত্রের লোকেরা এটুকু স্বল্পমাত্রার জবাবদিহিতাও চায় না। তার বদলে তারা একে গণমাধ্যমের ওপর আঘাত আখ্যা দিয়ে কাদা ছোড়াছুড়ি করতে চায়।’
সব শেষে জয় লিখেছেন, ‘মাহফুজ আনাম যদি হয়রানি বোধ করেন, মিথ্যা অভিযোগে ১১ মাস জেলে কাটানোর অনুভূতি কেমন সম্ভবত তা তাঁর জানা উচিত।’