১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: বিতর্কের মুখে অবশেষে অবসরোত্তর সুবিধায় থাকা বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর মামলা থেকে আইনজীবী হিসেবে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন।
সোমবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগে মামলাটির শুনানি শুরু হয়। এ সময় নজরুল ইসলাম চৌধুরী এই মামলা থেকে নিজেকে প্রত্যাহারের বিষয়টি জানান।
নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘অনন্ত দুইটি মামলায় একই মক্কেলের পক্ষে ও তিনটি মামলায় অপর পক্ষে বিজ্ঞ অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছি। ওই মামলাগুলোর শুনানি চলাকালে অ্যাটর্নি জেনারেল আমার প্র্যাকটিসের বৈধতা বা নৈতিকতা নিয়ে কোনো আপত্তি উত্থাপন করেননি।’
তিনি বলেন, কিন্তু শুধু মীর কাসেম আলীর মামলা পরিচালনা করতে গেলেই তিনি আমার প্র্যাকটিসের বৈধতা ও নৈতিকতার প্রশ্ন তুলেন, যা অনাকাঙ্খিত। তাই প্রচন্ড বৈরি পরিবেশের কারণে আমি এই মামলার কার্যক্রম থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয়েছি।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলীর পক্ষে আপিল বিভাগে শুনানি করেন সাবেক এই বিচারপতি। এতে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি।
এদিকে, হাইকোর্ট থেকে অবসরে যাওয়ার পর বিচারপতিদের আপিল বিভাগের মামলা পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট করেছেন এক আইনজীবী।