১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দলটির গঠনতন্ত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানিয়েছেন শীর্ষ নেতারা। একই সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির আকারও বাড়তে পারে বলে জানান তারা।
দলীয় সূত্র জানায়, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সংখ্যা ১৩ থেকে বাড়িয়ে ১৫ করার চিন্তাভাবনা চলছে। এছাড়া সম্পাদকমণ্ডলিতে তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদকসহ আরো দুই/একটি পদ সৃষ্টি করা হতে পারে। আর দেশের সাতটি বিভাগের দায়িত্বে থাকা সাতজন সাংগঠনিক সম্পাদকের পাশাপাশি ময়মনসিংহ, ফরিদপুর ও কুমিল্লা বিভাগের জন্য নতুন করে আরো তিনটি সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ সৃষ্টি করা হবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমাদের উপ-কমিটি গঠন প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। কাজও শুরু হয়ে গেছে। আগামীতে ১০টি বিভাগ থাকবে। ১০টি বিভাগের দায়িত্ব পালনের জন্য ১০ জন সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ সৃষ্টি করা হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে আরো তথ্য-প্রযুক্তি সম্পন্ন আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সাংগঠনিকভাবে আমরা একটি তথ্য-প্রযুক্তি সম্পাদক রাখার চিন্তা-ভাবনা করছি। সব মিলিয়ে এবারে আমাদের কমিটির আয়তন বাড়ার সম্ভাবনা আছে। এছাড়া যারা সংগঠনের মূল দায়িত্বে থেকেও তা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন তাদেরকে বাদ দিয়ে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি করাই কাউন্সিলের লক্ষ্য।’
আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘শতভাগ জেলা কাউন্সিল সম্পন্ন করেই আগামী ২৮ মার্চ ঐতিহাসিক একটি কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এছাড়া আগামী জাতীয় সংসদের নির্বাচনটিতেও কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে যে নতুন কমিটি হবে তাদেরকেই দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
এবারই প্রথম সকল জেলা সম্মেলন শেষ করে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২০তম ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। এই সম্মেলনকে ঘিরে প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে জোরেশোরে। সর্বশেষ ২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।