ব্রেকিং নিউজ
Home / টেকনোলজি / এক শতাব্দী পর সত্যি প্রমাণিত হলো আইনস্টাইনের মহাকর্ষ তরঙ্গ তত্ত্ব

এক শতাব্দী পর সত্যি প্রমাণিত হলো আইনস্টাইনের মহাকর্ষ তরঙ্গ তত্ত্ব

১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬: বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের অপেক্ষবাদ তত্ত্বের মহাকর্ষীয় তরঙ্গকে শত বছর পর বাস্তবে শনাক্ত করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। খবর রয়টার্সের।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনে শনাক্তের এ ঘোষণা দেয়া হয়। প্র্রসঙ্গত, ১৯১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি আইনস্টাইন স্থান-কালকে বাঁকিয়ে দেয়া এ মহাকর্ষ তরঙ্গের তত্ত্ব দেন।  এই তরঙ্গের ওপর ভর করেই চলছে মহাবিশ্ব। পৃথিবীর ঘূর্ণন, গ্রহ নক্ষত্রের গতি সব কিছুই ঘটছে মহাকর্ষীয় তরঙ্গের কারণে। বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী আইনস্টাইন তাঁর আপেক্ষিতা তত্ত্বেই এই তরঙ্গ সম্পর্কে ধারণা দিয়েছিলেন। মহাকর্ষীয় তরঙ্গের মাধ্যমে আবিষ্কারের মধ্যে আইনস্টাইনের তত্ত্ব নির্ভুল প্রমাণিত হলো।

গবেষকরা বলছেন, সূর্যের থেকে প্রায় ৩০ গুণ ভারী দুটি কৃষ্ণ গহ্বরের সংঘর্ষ থেকে উৎপন্ন এই মহাকর্ষীয় তরঙ্গ (গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েভ) শনাক্ত করা হয়েছে। পৃথিবী থেকে এক দশমিক বিলিয়ন বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে ওই দুটি ব্ল্যাক হোল একে অন্যের চারপাশে চক্রাকারে ঘুরতে ঘুরতে এক পর্যায়ে একসঙ্গে মিশে যায়।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি এবং লেজার ইন্টারফেরোমিটার গ্র্যাভিটেশনাল ওয়েব অভজারভেটরির (এলআইজিও-লাইগো) গবেষকরা এই ঘোষণা দেন।

আলোর মতো মহাকর্ষ তরঙ্গ এক স্থান থেকে অন্যস্থানে ছড়িয়ে পড়ে। প্রার্থক্যটা হলো, আলো বিকিরণ আকারে ছড়ায়। আর মহাকর্ষ তরঙ্গ স্থান-কালের স্বাধিকারবলে নিজেই এক্ষেত্রে তরঙ্গায়িত হয়।

ienstein1আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো মহাকর্ষীয় ত্বরণ। প্রায় ১০০ বছর আগে ওই তত্ত্ব দেওয়া হলেও আধুনিক যন্ত্রে এই প্রমাণ পেলেন গবেষকরা। তবে আইনস্টাইনের তত্ত্বের একটি বিষয়ে কিছুটা ব্যতিক্রম পেয়েছেন গবেষকরা। তিনি বলেছিলেন মহাকর্ষীয় ত্বরণ এতাটাই দুর্বল হবে যে একে শনাক্ত করা সম্ভব নাও হতে পারে।
কোনো বালতির পানিতে হাত ডুবিয়ে তুললে পানির উপরিতলে যে মৃদু ঢেউ ধীরে ধীরে বালতির গোলাকার দেয়ালের দিকে ছড়িয়ে যায়, এই মহাকর্ষীয় তরঙ্গ স্থানের মধ্যে সেরকম মৃদু ঢেউ তৈরি করে তথা স্থানকে বাঁকিয়ে দিয়ে সম্প্রসারণ করে।