৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬: সংখ্যার হিসাবে, ইউরোপে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় আবেদনকারীদের তালিকায় বাংলাদেশিরা দশম। প্রভাবশালী বৃটিশ ম্যাগাজিন দ্য ইকোনমিস্টের উপাত্ত অনুযায়ী, ২০১৪ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ১৮৩০০ জন ইউরোপে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। ২০১৪ সালের গ্রীষ্মের পর থেকেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে ভয়াবহ শরণার্থী সংকট মোকাবিলা করছে ইউরোপ। লাখো উদ্বাস্তু নিরাপত্তার খোঁজে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। আবার অনেকেই ভাগ্যের খোঁজে ইউরোপ পাড়ি জমিয়েছেন বা চেষ্টা চালিয়েছেন। ফলে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে ইউরোপে। এ মহাদেশ এখনও অর্থনৈতিক সংকট থেকে পুনরুদ্ধারের পথে আছে। ইকোনমিস্টের উপাত্ত অনুযায়ী, ২০১৪ ও ২০১৫ সালের অক্টোবরের মধ্যে সর্বোচ্চ ৩১৮৬৫০ জন ইউরোপে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন সিরিয়া থেকে; আফগানিস্তান থেকে করেছেন ১৪৫৯৭০ জন। এছাড়া, ইরাক থেকে ১০৩৬২০ জন, কসোভো থেকে ৯৩২৬০ জন, আলবেনিয়া থেকে ৬৪৬৩৫ জন, ইরিত্রিয়া থেকে ৪৬৯৬৫ জন, সার্বিয়া থেকে ৩৫৪৫০ জন, বাংলাদেশ থেকে ১৮৩০০ জন, গাম্বিয়া থেকে ১৩৯৮৫ জন ইউরোপে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। ১৮৩৩৫ জন আবেদনকারী রাষ্ট্রহীন এবং ১৭৯৫৫ জনের নাগরিকত্ব জানা সম্ভব হয়নি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ব্যক্তিই আবেদন করেছেন জার্মানিতে। দেশটি সবচেয়ে বেশি আশ্রয়ের আবেদন গ্রহণও করেছে। এরপরই আছে সুইডেন। দেশ দুটি অর্ধেকেরও বেশি শরণার্থীর আবেদন গ্রহণ করেছে। এরপরেই আছে ইতালি, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড ও অন্যান্য দেশ। তবে এ ক্ষেত্রে সিরিয়া, ইরাক, ইরিত্রিয়া ও আফগানিস্তানের মতো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোর নাগরিকদের আবেদনই গ্রহণ করা হয়েছে বেশি। আলবেনিয়া, কসোভো ও সার্বিয়ার মতো দেশগুলো থেকে অর্থনৈতিক অভিবাসীদের আবেদন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।