০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬: দুবাইতে যাওয়ার দ্বিতীয় দিনই মাঠে নেমে পড়লেন বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। প্রতিপক্ষ লাহোর কালান্দার্স। যে দলে খেলছেন ক্রিস গেইলের মত টি-টোয়েন্টির দানবীয় ব্যাটসম্যান। তবে ম্যাচ শেষে ক্রিস গেইল নয় সব আলো কেড়ে নিলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে, গেইলের দল লাহোর কালান্দার্স, আট উইকেট হারিয়ে করাচি কিংসের সামনে মাত্র ১২৫ রানের চ্যালেঞ্জ দিতে পারে। কিংসের হ্যাটট্রিক করেন মোহাম্মদ আমির। সাকিব আল হাসান নেন একটি উইকেট।
১২৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র চার রানেই দুই ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চাপে পড়ে করাচি। এরপর দলের হাল ধরেন সিমন্স ও সাকিব। দুজনে মিলে গড়েন ১০৯ রানের জুটি। তবে ইনিংসের ১৪ তম ওভারে এসে জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে সাজঘরে ফিরে যান সাকিব আল হাসান। ক্যামেরন ডেলপোর্টের বলে কুপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরার আগে সাকিব মাত্র ৩৫ বলে তিনটি চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় করেন ৫১ রান। সাকিব ফিরে গেলেও আরেক প্রান্ত আগলে ধরে রাখেন সিমন্স। অধিনায়ক শোয়েব মালিককে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন সিমন্স। ম্যাচ শেষে অপরাজিত থাকেন সিমন্স। তিনি ৪৬ বলে আট চার ও দুই ছক্কায় করেন ৬১ রান। এছাড়াও মালিক করেন সাত বলে ১২ রান। লাহোরের পক্ষে জিয়াউল হক, জাফর গহর ও ডেলপোর্ট নেন একটি করে উইকেট। এর আগে, টস জিতে লাহোর কালান্দার্সের অধিনায়ক আজহার আলিকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান করাচি কিংসের অধিনায়ক শোয়েব মালিক। শুরু থেকেই স্পিন আক্রমণ শুরু করেন শোয়েব মালিক। দ্বিতীয় ওভারে যদিও আমিরকে নিয়ে আসেন। কিন্তু প্রথম ওভারেই আসল কাজটি করে দিলেন শোয়েব মালিক। ফিরিয়ে দিলেন সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ক্রিস গেইলকে। ৪ বলে মাত্র ৬ রান করেন তিনি। ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই আজহার আলিকে ফিরিয়ে দিলেন সাকিব আল হাসান। সরাবরি বোল্ড করে। ১৬ বলে ১৮ রান করেন আজহার। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ে লাহোর কালান্দার্সের। মাঝে উইকেট ধরে খেললেও, রান তোলার গতি ছিল খুবই কম। শেষ দিকে এসে তো মোহাম্মদ আমির একাই কোমর ভেঙে দেন লাহোরের। দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করেন তিনি। শিকার করেন ডোয়াইন ব্র্যাভো, জোহাইব খান এবং ক্যভন কুপারকে। পিএসএলে এটা প্রথম হ্যাটট্রিক। মোহাম্মদ রিজওয়ানই যা একটু প্রতিরোধ গড়তে পেরেছিলেন। ৩১ বলে তিনি করেছেন ৩৭ রান। আমির ৪ ওভার বল করে ২৭ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। সাকিব ৪ ওভার বল করে দিলেন ২৬ রান। উইকেট একটি। সোহেল তানভির ৪ ওভারে দিয়েছেন ১৯ রান।
ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান।
পুরস্কার দিতে গিয়ে রমিজ রাজার তালগোল!
ম্যাচ শেষে অনুমিতই ছিলো ম্যাচ সেরার পুরষ্কার পাচ্ছেন সাকিবই। কিন্তু পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রমিজ রাজা ভুল করে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ ঘোষণা করেন লেন্ডন সিমন্সকে। যদিও পরে ভুল বুঝতে পেরে সাকিবকেই ডেকে নেন তিনি। ম্যাচে ৬১ রান করা লেন্ডন সিমন্সকে বাউন্ডারি এওয়ার্ড দিয়ে রমিজ রাজা বললেন, ‘প্লিজ স্টে অন ইউ উইল রিসিভ দা ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ অলসো।’ কিন্তু কিছুক্ষন পরেই ভুল ভাঙে তার। সাথে সাথেই তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বললেন, ‘সরি সরি ইটস সাকিবস…ইউ অলরেডি গট ইওর এওয়ার্ড। সাকিব প্লিজ কাম ওভার এন্ড রিসিভ ইওর এওয়ার্ড।’ এরপর সাকিব পুরষ্কার বিতরণী মঞ্চে আসেন এবং পুরষ্কার বুঝে নেন।