মাহফুজ আনামের গ্রেফতার দাবি করলেন জয়

০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬: দ্যা ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের বিরুদ্ধে সামরিক অভ্যুত্থানে উসকানি ও মিথ্যা প্রচারণা চালানোর অভিযোগ এনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাতনয় সজীব ওয়াজেদ জয়। এ জন্য মাহফুজ আনামের গ্রেফতার ও বিচার চেয়েছেন তিনি।

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সকারের সময় প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার (ডিজিএফআই) দেয়া তথ্যবিহীন খবর যাচাই-বাছাই না করে প্রকাশ করা সাংবাদিকতার ভুল ছিল, বুধবার একটি চ্যানেলে দেয়া দ্যা ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের এমন স্বীকারোক্তির পরপরই বৃহস্পতিবার সজীব ওয়াজেদ জয় তার ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ দাবি জানান।

তিনি লিখেন, ‘মাহফুজ আনাম, দ্যা ডেইলি স্টার সম্পাদক, স্বীকার করেছেন যে তিনি আমার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অপবাদ আরোপ করতেই তার বিরুদ্ধে মিথ্যা দুর্নীতির গল্প ছাপিয়েছিলেন। তিনি সামরিক স্বৈরশাসনের সমর্থনে আমার মাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে এই কাজ করেছিলেন।’

‘একটি প্রধান সংবাদপত্রের সম্পাদক সামরিক বিদ্রোহে উস্কানি দিতে যে মিথ্যা সাজানো প্রচারণা চালায় তা রাষ্ট্রদ্রোহিতা।’

‘তিনি অব্যাহতভাবে রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে তাদের অনৈতিকতা এবং দুর্নীতিগ্রস্থ হবার কথা লিখেন। তার নিজের স্বীকারোক্তি মতে তিনি নিজেই পুরোপুরি অনৈতিক এবং একজন মিথ্যাবাদী। তার অবশ্যই একজন সাংবাদিক হিসেবে থাকার কোন অধিকার নাই, সম্পাদক তো অনেক দূরের বিষয়। তার কার্যক্রম দুর্নীতিকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে; যা দেশপ্রেমহীন এবং বাংলাদেশ বিরোধী’, যোগ করেন প্রধানমন্ত্রীর এই তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা।

ফেসবুকে মাহফুজ আনামকে গ্রেফতার ও বিচার দাবিকে ব্যক্তিগত মত উল্লেখ করে সজীব ওয়াজেদ জয় লিখেন, ‘তার মিথ্যা গল্পের উস্কানি আমার মাকে গ্রেফতার করিয়েছে এবং ১১ মাস তিনি জেলে কাটিয়েছেন। আমি বিচার চাই। আমি চাই মাহফুজ আনাম আটক হোক এবং তার রাষ্ট্রদ্রোহিতার বিচার হোক।’

ডেইলি স্টারের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বুধবার রাতে স্যাটেলাইট টেলিভিশন এটিএন নিউজের এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রশ্নের উত্তরে মাহফুজ আনাম বলেন, ‘আমার সাংবাদিকতার জীবনে, সম্পাদক হিসেবে এটা বড় ভুল। সেটা আমি স্বীকার করে নিচ্ছি।’

অনুষ্ঠানে মাহফুজ আনাম স্বীকার করে বলেন, ‘তখন এই খবর প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা (তাদের) সরবরাহ করেছিল।’

আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে ওই সময় ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে তাদের চরিত্র হননের চেষ্টা চালানো হয়েছিল বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে।

২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা জারির পর সেনা হস্তক্ষেপে গঠিত ফখরুদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে ডেইলি স্টারের ‘সমর্থন’  নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে।