গত সোমবার সন্ধ্যায় পূর্ব লন্ডনের ব্যস্ততম বাংলাদেশী অধ্যুষিত হোয়াইটচ্যাপেল এলাকার নিজ অফিসে চুরিকাঘাতে নিহত হন জাকারিয়া ইসলাম (৪৫)। পুলিশ ঘটনার সাথে অভিযুক্ত আশরাফ চৌধুরী ৪৩ নামক ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় আটক করে। বৃহস্পতিবার সকালে টেমস ম্যাজিস্ট্রি কোট কিংন্স রোড়ে বসবাসকারী আশরাফ চৌধুরীকে অভিযুক্ত করে জেলে প্রেরনের নিদের্শদেয়।
জানাযায় সোমবার বিকেল ৬:২০ মিনিটের দিকে আশরাফ চৌধুরী জাকারিয়া ইসলামের অফিসে আসে। অফিস রুমে ঢুকে এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাত করলে তিনি নিজেকে রক্ষা করতে চেষ্টা করেন। এসময় দুজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায় জাকারিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং হামাগুড়ি দিয়ে পাশের রুমে গিয়ে নিজেকে রক্ষার শেষ চেষ্টা করেন। পাশের রুমের লোকজন তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি সন্ধা পৌনে ৭ টায় মারা যান। পরে পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।
নিহত জাকারিয়া স্ত্রী ও ৩ মেয়ে সন্তান রেখে গেছেন। নহিত জাকারয়িা স্ত্রী ও ৩ মেয়ে সন্তান রেেখ গছেনে।
এনিয়ে গত একমাসে ৩জন বাংলাদেশী ইস্ট লন্ডন এলাকায় হত্যা কান্ডের শিকার হলেন।
এর আগে গত সেপ্টেম্বর স্থানীয় ডাকেট স্ট্রীটের একটি ফ্ল্যাট থেকে ৩৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের নাম রুহুল আহমেদ। এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহে নিহতের ছোট ভাই জহুল আহমদকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে গত ২৩ শে আগস্ট সন্ধ্যায় ‘বো’তে ঘটে ছুরিকাঘাতের ঘটনা। এ ঘটনায় ৮০ বছরের বৃদ্ধ জমির আলী নিহতের পাশাপাশি ছুরিকাহত হন আরো ৩ শিশু। হামলাকারী নিহত বৃদ্ধের ছেলে সুলুক আহমদ নিজেও ছুরিকাহত ছিলেন। পরে তাকে গ্রেফতার এবং পিতা হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করে পুলিশ। ঘনঘন হত্যাকান্ডের ঘটনায় বাঙালী পাড়ায় আতংক বিরাজ করছে। নিহত ও অভিযুক্ত সকলেই বাঙালী হওয়ায় কমিউনিটির মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। কমিউনিটিতে নিজেদের মধ্যে হানাহানী বন্ধ করতে সমাজিকভাবে উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে অভিজ্ঞ মহল। এতে কমিউনিটি সংগঠন, মসজিদগুলো গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ঘনঘন হত্যাকান্ডের পিছনে অনেকটা সমাজিক অবক্ষয়, পারিপারিক ও সমাজিকভাবে অশান্তি এবং বৈষ্ণমকে দায়ী করেছেন অনেকে। এসব বন্ধে আরো সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়েছেন বিশিষ্টজন।
London Bangla A Force for the community…
