১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫: লন্ডনে পৌঁছেছেন বিএনপি চেয়াপারসন খালেদা জিয়া। বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) লন্ডন সময় সকাল ৬টা ১৪ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ১১টা ১৪ মিনিট) লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। দীর্ঘ দিন পর মায়ের দেখা পেলেন তারেক রহমান। সে আনন্দে মাকে পাশে বসিয়ে নিজেই গাড়ি চালিয়ে এয়ারপোর্ট থেকে বাসায় নিয়ে যান তিনি। এমন একটি ছবি পাওয়া গেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নামে পরিচালিত একটি ফেসবুক পেজ থেকে।
এর আগে (১৫ সেপ্টেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় রাত আড়াইটায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে৭ ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা হন খালেদা।
খালেদা জিয়ার সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন-তার উপদেষ্টা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী,তার একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তার ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির সমর্থনে মেয়র প্রার্থী হওয়া তাবিথ আউয়াল। গৃহকর্মী ফাতেমা বেগমও খালেদা জিয়ার সঙ্গে আছেন।
মঙ্গলবার রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে ব্যক্তিগত সফরে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে৫৮৫ ফ্লাইটে লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে বিদায় জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বর্তমান মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সাবেক এমপি অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি হেলেন জেরিন খান, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ।
ব্যক্তিগত এ সফরে খালেদা জিয়া চোখের চিকিৎসা করাবেন। লন্ডনের একটি হাসপাতালে পুত্রবধূ ডা. জোবায়দা রহমান আগে থেকেই অ্যাপয়েনমেন্ট নিয়ে রেখেছেন।
দীর্ঘ চার বছর পর বড় ছেলে তারেক রহমান, ছেলের বউ জোবায়দা রহমান, নাতনি জাইমা রহমানের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাবেন খালেদা জিয়া। সর্বশেষ ২০১১ সালে লন্ডন সফরের সময় তাদের সঙ্গে দেখা হয়েছিল।
প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি, দুই কন্যা জাফিয়া ও জাহিয়া রহমানের সঙ্গেও লন্ডনে দেখা হচ্ছে খালেদা জিয়ার। এরই মধ্যে মালয়েশিয়া থেকে দুই মেয়ে নিয়ে লন্ডন পৌঁছেছেন শর্মিলা।
খালেদা জিয়ার লন্ডন সফর নিয়ে গত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে নানা গুঞ্জন চলছিল। ১৫ আগস্টের আগেই লন্ডন যাওয়ার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেও নানা জটিলতার কারণে যেতে পারেননি তিনি।