ব্রেকিং নিউজ
Home / বাংলাদেশ / রাজপথ অবরোধ কর্মসূচি ভ্যাট বিরোধী শিক্ষার্থীদের

রাজপথ অবরোধ কর্মসূচি ভ্যাট বিরোধী শিক্ষার্থীদের

no-vat১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫: প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস এলাইয়েন্স অব বাংলাদেশ (পিইউএসএবি) শিক্ষায় ৭.৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে ৫’দফা দাবি সংযুক্ত নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করছে।

‘শিক্ষাক্ষেত্রে কোন প্রকার ভ্যাট থাকবে না’ দাবি করে এই আন্দোলন করছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

পিইউএসএবি’ ফেসবুক পেইজে পোস্ট করা একবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবীতে বিগত কয়েকদিন যাবত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, সরকার শিক্ষার্থীদের এই ন্যায্য দাবির প্রতি কোনো কর্ণপাত করেনি। বারবার শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মাননীয় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানানোর পরও কোনো ফলাফল না আসায় আজ আমরা ক্লাস ছেড়ে রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি’।

রোববার থেকে নতুন কর্মসূচি সম্পর্কে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,

‘১। আগামীকাল, ১৩ সেপ্টেম্বর, রোববার থেকে দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত দেশের সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেলের ক্লাস বর্জন কর্মসূচি চলবে।

২। একইসাথে রোববার সকাল ৯টা থেকে রাজপথ অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে’।

এই আন্দোলন কোনোভাবেই সরকারের বিরুদ্ধে না উল্লেখ করে বলা হয়, ‘আমরা সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ক্লাসে ফিরে গিয়ে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবির এই অহিংস আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার সকল অপচেষ্টা হতে সকলকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি’। শিক্ষার্থীদের এই ব্যাপারে সতর্ক থাকতেও অনুরোধ করা হয় এবং দল-মত নির্বিশেষে দেশের সকল নাগরিককে এই আন্দোলনে সহযোগিতার আহবান জানানো হয়।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে তারা নিচের দাবি গুলো করেছেন-

‘১। শিক্ষার উপর আরোপিত মুল্য সংযোজন কর(VAT) সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করতে হবে।

২। ভবিষ্যতেও শিক্ষাক্ষেত্রে কোনো ধরণের কর আরোপ করা যাবে না অর্থাৎ কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা শিক্ষার্থী কোনো কর দিবে না।

৩। EAST-WEST বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশি হামলার দ্রুত বিচার করতে হবে।

৪। ১০ তারিখ সন্ধ্যায় DAFFODIL বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারী চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিচার করতে হবে।

৫। অর্থমন্ত্রীকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে হবে’।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১০ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার শিক্ষার্থীদের দিনব্যাপী আন্দোলনের পর বিকেলে সরকারের পক্ষ থেকে এনআরবি’র বিজ্ঞপ্তি ও অর্থমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন শিক্ষার্থীদের মাঝে আশার সঞ্চার করার পরিবর্তে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করেছে। সেখানে আরো বলা হয়, ‘এনআরবি’র উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে আমাদের মূল দাবি উপেক্ষিত থেকেছে’।