২০ জুলাই ২০১৫: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজীব আহসানকে গ্রেফতার করেছে পটুয়াখালীর দুমকি থানা পুলিশ। রোববার রাত ১১টায় লেবুখালী ফেরিঘাট থেকে দুমকি থানা পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে।
পরে মধ্যরাতে পটুয়াখালী গোয়েন্দা কার্যালয়ে (ডিবি) এক প্রেস ব্রিফিং-এ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো, ফয়েজ আহম্মেদ জানান, বরিশাল থেকে মাদকসহ মাদক পাচারকারী চক্র একটি প্রাইভেট কারে করে পটুয়াখালী হয়ে কুয়াকাটা প্রবেশ করবে- এমন খবর পেয়ে দুমকি থানা পুলিশ আগ থেকেই লেবুখালী ফেরিঘাটে অবস্থান করছিল। রাত ১১টার দিকে ফেরিঘাটের উত্তর পাড়ে পৌঁছা মাত্রই সাদা রংয়ের একটি প্রাইভেট কার পুলিশ ঘেরাও করার পর তল্লাশি শুরু করে। এক পর্যায় গাড়িতে থাকা ছাত্রদল সভাপতি রাজীব আহসান পুলিশের কাছে নিজের পরিচয় দেন। পুলিশ এ সময় তার ব্যাগের মধ্য থেকে ৪৫ পিচ ইয়াবাসহ একটি মদের বোতল উদ্ধার করে বলে তিনি দাবি করেন।
গ্রেফতার বাকি পাঁচজন হলেন- মো. সালাহ্উদ্দিন, মো. রফিকুল ইসলাম, সৈয়দ জসিম উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম ও গাড়ির চালক অসীম হাওলাদার। এদের সবার বাড়ি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, আটকদের লেবুখালী ফেরিঘাট থেকে সরাসরি পটুয়াখালী ডিবি অফিসে নিয়ে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে প্রেস ব্রিফিং শেষে রাতেই পুলিশ প্রহরায় পটুয়াখালী সদর থানা হেফাজতে নিয়ে রাখা হয়। আজ সকালে পুলিশ বাদী হয়ে মাদক আইনে দায়ের করা মামলায় তাদেরকে আদালতে চালান দেওয়া হবে। প্রাইভেট কারটি জব্দ দেখানো হয়েছে।
ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাজীব আহসানের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
তবে পুলিশের দাবি অস্বীকার করে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক আব্দুস সাত্তারের দাবি, বরিশালের মেহেদীগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে স্বজনদের সঙ্গে দেখা করে পটুয়াখালীতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন রাজীব। সেখান থেকে ঢাকায় ফেরার পথে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্রেস ব্রিফিংকালে রাজীবকে কোনো ধরনের প্রশ্ন করার অনুমতি সাংবাদিকদের দেয়নি পুলিশ।