৩০ জুন ২০১৫: ঢাকা মহানগরীর পূর্বাচল থেকে ঝিলমিল আবাসিক এলাকা পর্যন্ত প্রায় ৩৫ কি.মি. দীর্ঘ মেট্রোরেল নির্মাণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে সিক্সথ গ্রুপ বা সিআরএসজি। সোমবার সকালে চীনে সফররত সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি’র সাথে সিআরএসজি’র ভাইস জেনারেল ম্যানেজার মি. ঝু হ্যাং-এর নেতৃত্বে সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল স্বাক্ষাতে এ আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সময়ে মন্ত্রী আগ্রহী প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশের বিদ্যমান নিয়মানুযায়ী প্রস্তাব প্রেরণের পরামর্শ দেন। উল্লেখ্য, উত্তরা হতে শাপলা চত্বর পর্যন্ত এমআরটি-৬ বা মেট্রোরেল রুটের কাজ আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ৮টি প্যাকেজের মধ্যে তিনটির দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। পূর্বাচল থেকে ঝিলমিল পর্যন্ত মেট্রোরেল রুট বা এমআরটি-১ নির্মাণে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। স্বাক্ষাৎকালে সেতুবিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সেতু বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী কবির আহমদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক রুহুল আমিন সিদ্দিক এবং বেইজিংস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের দেলোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। আজ ৩০ জুন স্থানীয় সময় বিকাল ৩টায় কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল নির্মাণে চীন সরকারের মনোনীত প্রতিষ্ঠানের সাথে সেতু বিভাগের চুক্তি স্বাক্ষর হতে যাচ্ছে। এসময় চীনের পরিবহনমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন। চীন সফররত বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী’র সাথে হোটেল স্যুটে চায়না হার্বারের এক প্রতিনিধিদলের স্বাক্ষাৎকালে মিরেরসরাই থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১৬০কিমি. এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না হার্বার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড। চায়না হার্বারের প্রেসিডেন্ট ও সিইও লিন ইয়াচাং প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার মিরেরসরাই থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত সড়ক নির্মাণে অগ্রাধিকার দেবে। এটি হবে এক্সপ্রেসওয়ে, মেরিন ড্রাইভের মতো। এ সড়ক দেশের পর্যটন সম্ভাবনাকে বিকশিত করবে। তিনি আগ্রহী প্রতিষ্ঠানকে পরিকল্পনা কমিশনের মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে প্রস্তাব প্রেরণের পরামর্শ দেন।