গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আমি মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের বিরোধিতা করি না, কিন্তু সরকার কামারুজ্জামানকে ফাঁসির দঁড়িতে ২০ মিনিট ঝুলিয়ে রেখে যে মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে তার জন্য সরকারের উচিৎ কামারুজ্জামানের পরিবারের কাছে ক্ষমা চাওয়া।
রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত গণতন্ত্র ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ সহ সকল রাজবন্দীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নি:শর্ত মুক্তির দাবি এবং সুষ্ঠ অবাধ গ্রহণযোগ্য সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের দাবিতে চিকিৎসক কর্মকর্তা কর্মজীবী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জাফরুল্লাহ বলেন, সারাজীবন দেখেছি মৃত্যুদণ্ড দণ্ডিত ব্যক্তির শেষ ইচ্ছা পূরণ করা হয় কিন্তু কামারুজ্জামানের শেষ ইচ্ছা ছিল শুক্রবারে যেন তাকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয় কিন্তু এই সরকার তার শেষ ইচ্ছাটাও পূরণ হতে দেয়নি।
এসময় তিনি বলেন, চলমান সিটি নির্বাচনে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে যত মামলাই থাকুক তাকে মাঠে নামতে হবে। জনগণের রায় তার দিকেই আসবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা এই সরকারের আচরণে অতিষ্ট হয়ে গেছি। ২৮ এপ্রিল সিটি নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে সরকার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বিচার হবে।
অনুষ্ঠানে মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস অভিযোগ করে বলেন, আমরা ভোট চাইতে গিয়ে বিভিন্নভাবে বাধা বিপত্তির সস্মুখীন হচ্ছি। আমরা যেখানে ভোট চাইতে যাই সেখান থেকে আমাদের লোকজনকে পেছন থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, জনগণের রায় আমাদের পক্ষে ১০০% আছে শুধুমাত্র আমাদেরকে সঠিকভাবে ভোট চাইতে দিলেই আমাদের বিজয় নিশ্চিত।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সিটি নির্বাচনকে পুলিশি নির্বাচন আখ্যা দিয়ে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, দেশ যেমন পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, সিটি নির্বাচন তেমন পুলিশি নির্বাচনে পরিণত হয়েছে।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী, আয়োজক সংগঠনের মহাসচিব এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম-মহাসচিব রফিকুল ইসলাম বাচ্চু প্রমুখ।
নিষ্কর্মা না বলে মাটির পুতুল বললে খুশি হতাম
ঠিক বলছেন 🙂