১০ জুন ২০১৫: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে অসুস্থতার জন্য বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজে ভর্তি করাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি ইকবাল কবির এর সম্বনয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ এক আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে সোমবার ফখরুলের পক্ষে আবেদন পেশ করেন তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগম। আবেদনে চিকিৎসার জন্য ফখরুলকে হাসপাতালে ভর্তির নির্দেশনা চাওয়া হয়।
আজ আদালতে ফখরুলের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম।
আদালত থেকে বেরিয়ে ফখরুলের আইনজিবী এহসানুর রহমান বলেন, ফখরুল সাহেবের হার্টের ৮০ শতাংশ ব্লক হয়ে গেছে, সেখানে রিং পড়ানো আছে। তাই কিৎসার নির্দেশনা চেয়ে গতকাল তার স্ত্রীর পক্ষে আমরা আবেদনটি করেছিলাম। শুনানি শেষে আজ আদালত তাকে হাসপাতালে পাঠানোর আদেশ দেয়।
এদিকে, নাশকতার মামলায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর জামিন এবং রিমা-ের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তারা তিন কার্যদিবসের মধ্যে রিজভীকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম মারুফ হোসেন সকালে উভয়পক্ষের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আজ রিজভীকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য পল্টন থানার এসআই মাসুদ মুন্সী ১০দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। অন্যদিকে,রিজভীর আইনজীবী এডভোকেট জয়নুল আবেদীন মেজবাহ জামিন চেয়ে রিমান্ডের রিমান্ডের বিরোধীতা করেন। ২০১৪ সালের ২৯শে ডিসেম্বর পল্টন থানা এলাকায় গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এসআই আবদুল মালেক হাওলদার বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।