কুমিল্লায় আ.লীগ-ছাত্রলীগ বন্দুকযুদ্ধে নিহত ১

কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের মধ্যকার বন্দুকযুদ্ধের সময় গুলিবিদ্ধ কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাসুম মিয়া (২৫) মারা গেছেন।

শুক্রবার ভোর রাতে ঢাকার একটি হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত ঢাকা-হোমনা সড়কের উপজেলার কড়িকান্দিতে ওই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের ১০ জন গুলিবিদ্ধসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের ঢাকা ও কুমিল্লার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত মাসুম মিয়া উপজেলার জগতপুর গ্রামের ইকবাল হোসেনের ছেলে এবং কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার উপজেলা ছাত্রলীগের অফিসে ভাংচুর করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল সিকদারের লোকজন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র উভয় পক্ষের লোকজন অস্ত্র মহড়া দিয়ে আসছিল।
বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার হোসেন বাবু বাড়ি ফেরার সময় সোহেল সিকদারের লোকজন তার উপর হামলা চালায়। পরে পুলিশের নিরাপত্তায় বাবুকে বাড়ি পৌঁছে দেয়া হয়।
বাবুর ওপর হামলার খবর শুনে তার লোকজন রাস্তায় এসে বিক্ষোভ করে। এখানে দুই পক্ষের মধ্যে পুনরায় সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে ছাত্রলীগ নেতা মাসুমসহ ১০জন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মুন্সি মজিবুর রহমান বলেন, তিতাস উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল সিকদারের লোকজন বৃহস্পতিবার রাতে জেলা ছাত্রলীগ নেতা মাসুমকে গুলি করে। গুলি করার পর আবার ট্রাক চাপা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় নেয়ায় পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর রাতে মাসুমের মৃত্যু হয়।
আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান সোহেল সিকদার বলেন, তারা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়েছে। এ সময় অজ্ঞাত ট্রাকের চাপায় একটি ছেলে মারা যায়। আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সঠিক নয়।
তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মো. আবদুল হান্নান বলেন, দুই গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। প্রথম সংঘর্ষের পর আমরা সারোয়ার হোসেন বাবুকে বাড়ি দিয়ে আসি। পরে রাত সোয়া একটার দিকে ছাত্রলীগ নেতা মাসুম ট্রাক চাপায় মারা যায়। [Adverts]