০৯ মে, ২০১৫: দেশে হাজার হাজার প্রিন্টিং বা মুদ্রণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকলেও তাদের বেশির ভাগই কর দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। এ সব প্রতিষ্ঠানের আয়কর ফাইল অনুসন্ধানে নেমেছে রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এনবিআরের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে—আয়কর কর্মকর্তারা সম্প্র্রতি এসব প্রতিষ্ঠানের কর সংক্রান্ত বিষয়ে জরিপ কাজ শুরু করেছেন।
সম্প্র্রতি এনবিআরে প্রাক-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির সভাপতি শহিদ সেরনিয়াবত এ খাতের সব ব্যবসায়ীকে করের আওতায় আনার তাগিদ দেন। তিনি বলেন, ‘অনেকে কর প্রদান করলেও বেশির ভাগ প্রিন্টিং হাউজ করের আওতার বাইরে থেকে যাচ্ছেন, যারা কর দিচ্ছেন স্বাভাবিকভাবে তারা প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে যাচ্ছেন।’ লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরির লক্ষ্যে সক্ষম সব ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কর আদায় করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সংগঠন সূত্র জানিয়েছে, ‘দেশে বর্তমানে সাত হাজারের বেশি মুদ্রণ শিল্প রয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৭০ শতাংশ কর দেয় না। কর প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়ছে বলেও সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।
গত মাসের মাঝামাঝি এনবিআরের কর জরিপ ও পরিদর্শন বিভাগ থেকে মাঠপর্যায়ের অফিসগুলোতে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। ওই চিঠিতে রাজধানীর ফকিরাপুল, আরামবাগ, বাংলাবাজারসহ দেশব্যাপী প্রিন্টিং হাউজগুলো পরিদর্শন করে সে সব প্রতিষ্ঠানের কর প্রদানের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে। ওই নির্দেশনায় এ সব প্রতিষ্ঠানকে করের আওতায় আনার জন্যও বলা হয়েছে। আগামী ১২ মের মধ্যে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যসহ প্রতিবেদন দাখিল করতেও বলা হয়েছে।
মুদ্রণ শিল্প সমিতি সূত্রে জানা গেছে—দেশে বর্তমানে ৭ হাজার প্রিন্টিং হাউজ থাকলেও এ সংগঠনের সদস্য মাত্র দেড় হাজার। এ সব সংগঠনের সদস্য হওয়ার জন্য কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) এবং বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (বিন) প্রয়োজন হয়।
সৌজন্যে : ইত্তেফাক
London Bangla A Force for the community…
