হিট অ্যান্ড রান মামলায় ভারতীয় সিনেমার জনপ্রিয় তারকা ‘সাল্লু ভাই’ খ্যাত সালমান খানের সাজা স্থগিত করেছে মুম্বাই হাইকোর্ট। শুক্রবার সাজা স্থগিত করে আদালতে হাজির হয়ে তাকে জামিন নিতে বলেছেন বিচারক।
গত ৬ মে বুধবার মুম্বাইয়ের স্থানীয় দায়রা আদালত ভারতীয় পেনাল কোড ৩০৪ (২) ধারায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় বলিউড অভিনেতা সালমান খানকে। কিন্তু মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যেই মুম্বাই হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে যান তিনি। সালমান খানের সেই জামিন আদেশ কি বহাল থাকবে নাকি হিট অ্যান্ড রান মামলায় তাকে কারাবাসই করতে হবে ? তা নির্ধারণ হয় আজ ৮ মে শুক্রবার।
সালমানের পক্ষে আইনি লড়াই করেন আইনজীবী অমিত দেশাই। তিনি আদালতে জানান ঘটনার দিনে গাড়িতে কামাল খান নামে আরো একজন উপস্থিত ছিলেন। হাইকোর্টে এ শুনানির বিচারক রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, কেন কামাল খানের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়নি? তারপর বিভিন্ন যুক্তি তর্ক শেষে আদালত এ রায় দেন।
এ শুনানিতে আদালতে উপস্থিত ছিলেন সালমানের ভাই আরবাজ খান, বোন আলভিরা, ম্যানেজার রেশমা এবং সালমানের পারিবারিক বন্ধু বাবা সিদ্দিক।
২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বরের রাতে বান্দ্রার ফুটপাথে ঘুমন্ত পাঁচজনকে পিষে দেয় সালমানের বিলাসবহুল এসইউভি। সেই দুর্ঘটনায় মারা যান নুরুল্লাহ মেহবুব শরিফ নামে এক ব্যক্তি। আহত হন আরো চারজন। দীর্ঘ তেরো বছরের আইনি লড়াইয়ের পর বুধবার বলিউড তারকা সালমানকে দোষী সাব্যস্ত করে মুম্বাই দায়রা আদালত। বিচারক ডি ডাব্লিউ দেশপাণ্ডে সালমান খানের পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং জরিমানার নির্দেশ দেন। হাইকোর্টে সালমানের হয়ে আপিল করেন ভারতের খ্যাতনামা আইনজীবী হরিশ সালভে।
হাইকোর্টের রায়ে সালমান স্বস্তি পেলেও ভারতজুড়ে শুরু হয় তোলপাড়। প্রশ্ন ওঠে, সালমান খানের মতো ব্যক্তি অভিযুক্ত বলেই কি এত সক্রিয় বিচার ব্যবস্থা? এই প্রশ্ন তুলে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে। ঠিক এই পরিস্থিতিতেই মুম্বাইয়ের স্থানীয় দায়রা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সালমানের আপিলের শুনানি হয় আজ।