বনানী সুপার মার্কেটে উচ্ছেদ অভিযানের নেপথ্যে সিটি করপোরেশন কর্মকর্তার চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান আজাদ ও অন্য ব্যবসায়ীরা এ অভিযোগ করেছেন।
মাহমুদ হাসান বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পরিবহন মহাব্যবস্থাপক (জিএম, ট্রান্সপোর্ট) মাহবুবুর রহমান কিছু পুলিশ নিয়ে নিজেকে ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে মার্কেটে আসেন। এ মার্কেটে অবৈধ দোকান আছে এমন দাবিতে তিনি বিভিন্ন দোকানের পণ্য ছুঁড়ে ফেলেন এবং জরিমানা করেন। এসময় তিনি এসে প্রতিবাদ জানালে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
এ পরিস্থিতি দেখে ব্যবসায়ীরা এসে জড়ো হতে থাকেন এবং তারাও প্রতিবাদ জানান। তখন মাহবুবুর রহমান পুলিশকে গুলি করার নির্দেশ দেন। এ শুনে ব্যবসায়ীরা আরো ক্ষিপ্ত হলে পুলিশ তাদের লক্ষ্য খরে ছররা গুলি করে। এতে ১৭/১৮ জন আহত হয়।
আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে আছেন- মাহবুব টেইলার্সের কর্মচারী জামাল হোসেন ও মিন্টু সরদার, দোকান কর্মচারী আব্দুল হালিম ও আলমগীর হোসেন। আব্দুল হালিমের পিঠজুড়ে কয়েকশ ছররা গুলি বিদ্ধ হয়েছে।
এদিকে এ ব্যাপারে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব হাসানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার থানা থেকে কোনো সোর্স সেখানে যায়নি। এ উচ্ছেদ অভিযানের সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
এ ব্যাপারে জানতে উত্তর সিটি করপোরেশনের পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমানের মোবাইল ফোনে কল করা হলে বন্ধ পাওয়া গেছে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, বনানী সুপার মার্কেটে কোনো অবৈধ দোকান নেই। এর আশেপাশে কোনো হকারও নেই। সুতরাং এখান থেকে সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা কোনো চাঁদাও পায় না। উচ্ছেদ অভিযানের আগে নিপুন নামে এক দালাল চাঁদার জন্য ফোন দেয়। কিন্তু মার্কেট কর্তৃপক্ষ কোনো সাড়া দেয়নি। এরপরই অভিযান চালানো হয়।
তবে উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসক বিএম এনামুল হক বলেন, এটি সিটি করপোরেশনের অধীন মার্কেট। তারা অভিযোগ পেয়েছেন, সিঁড়িসহ কিছু জায়গা দখল করে অনেকগুলো অবৈধ দোকান করা হয়েছে। এর ভিত্তিতেই সেখানে অভিযান চালানো হয়। এসময় ব্যবসায়ীরা বাধা দেয় এবং পুলিশের উপর চড়াও হয়, তারা ইটাপাটকেলও নিক্ষেপ করতে থাকে। আত্মরক্ষার স্বার্থে পুলিশ তাদের উপর গুলি চালিয়েছে।
London Bangla A Force for the community…
