সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও টক- শো আলোচক ড. তুহিন মালিকের বিরুদ্ধে দু’টি ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার বিরুদ্ধে একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার বিচারকাজ শুরু করার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
গুলশান ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এসব মামলা করা হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলার নথি এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এসেছে। মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে এসব মামলার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
গত তিন মাসে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা অনুমোদন দেয়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
সিএমএম আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে নিয়ে কটূক্তি এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগ ড. তুহিন মালিকের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা করা হয়।
সিএমএম আদালতে দু’টি মামলা করেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গোলাম রব্বানী। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক রাষ্ট্রের অনুমতি সাপেক্ষে মামলা দুটি এজাহার হিসেবে গণ্য করার জন্য শাহবাগ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ৩০ নভেম্বর লন্ডনের ওয়াটার লিলি গার্ডেন অডিটরিয়ামে এক আলোচনা সভায় সংবিধানের বিভিন্ন অনুচ্ছেদ নিয়ে কটূক্তি ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এনে বক্তব্য দিয়েছেন ড. তুহিন মালিক। এসব অভিযোগেই তার বিরুদ্ধে দু’টি মামলা হয়।
এ ছাড়া গত ফেব্রুয়ারিতে গুলশান থানায় মাহমুদুর রহমান মান্নার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করা হয়। এরপর ৩ মার্চ রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অনুমোদন দেয় সরকার। বে আইনি পন্থায় সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে এ মামলা করা হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, এসব মামলা এখন আইন অনুযায়ী চলবে।