ব্রেকিং নিউজ
Home / প্রচ্ছদ / তারেককে ইন্টারপোলের সাহায্যে দেশে ফেরানোর সুযোগ নেই

তারেককে ইন্টারপোলের সাহায্যে দেশে ফেরানোর সুযোগ নেই

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ওয়ান্টেড ঘোষণা করে ইন্টারপোলে রেড অ্যালার্ট দেয়া হলেও প্রকৃতপক্ষে এর মাধ্যমে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার সুযোগ নেই। তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হলে ব্রিটিশ সরকাররের সঙ্গে বাংলাদেশ সরাকারকে আলোচনা করতে হবে। তার অপরাধ কর্মকান্ড সম্পর্কে ব্রিটিশ সরকারকে অবহতি করে তারেক রহমানের রাজনৈতিক আশ্রয় বাতিল করতে হবে। তবেই ব্রিটিশ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারবে। সাবেক একজন স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে কথা বলে এমন ধারণা পাওয়া যায়।

তারেক রহমান বর্তমানে ব্রিটিশ সরকারের রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন। ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্টের কারণে ব্রিটিশ পুলিশ তাকে গ্রেফতারের সুযোগ নেয় বলেও তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
পুলিশের সাবেক একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, ইন্টারপোল মূলত সারা বিশ্বের পুলিশের একটি অ্যাসোসিয়েশন। কাউকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলের নিজস্ব কোনো বাহিনী নেই। এক দেশের অপরাধী অন্য দেশে গিয়ে লুকিয়ে থাকলে তাকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলের সহায়তা নেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট দেশের পুলিশ তদন্ত করে সে দেশের আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়। এক্ষেত্রে গ্রেফতার যে করতেই হবে সে রকম কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। আর রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকলে সেটা দুই দেশের সরকার পর্যায়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা রাখার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, প্রত্যেক দেশে ইন্টারপোলের বিষয়টি দেখার জন্য পুলিশ বিভাগের একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা থাকেন।

4 comments

  1. এন হোসাইন

    ইন্টারপোলের ওয়েব সাইটের কোথাও বাংলাদেশের অপরাধ লিষ্টে তারেক রহমানের নাম লিখা নেই। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ।
    আওয়ামীলীগ সরকার কিছু অবৈধ মন্ত্রী ও আমলারা মিলে বহিঃবিশ্বের চাপ কমানোর জন্য এই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে । এটা বাংলাদেশের ইনু মিডিয়া ছাড়া আর কোথাও কি প্রকাশ করা হয়েছে ? এটা অবৈধ হাসিনা সরকারের কু চক্রান্ত ।
    সবাই সজাগ দৃষ্টি রাখবেন, তারেক রহমানের জন্য দোয়া করবেন, সে জন্য সুস্থ শরীরে অচিরেই আপনাদের কাছে ফিরে আসতে পারে ।

  2. এন হোসাইন

    ইন্টারপোলের ওয়েব সাইটের কোথাও বাংলাদেশের অপরাধ লিষ্টে তারেক রহমানের নাম লিখা নেই। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ।
    আওয়ামীলীগ সরকার কিছু অবৈধ মন্ত্রী ও আমলারা মিলে বহিঃবিশ্বের চাপ কমানোর জন্য এই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে । এটা বাংলাদেশের ইনু মিডিয়া ছাড়া আর কোথাও কি প্রকাশ করা হয়েছে ? এটা অবৈধ হাসিনা সরকারের কু চক্রান্ত ।
    সবাই সজাগ দৃষ্টি রাখবেন, তারেক রহমানের জন্য দোয়া করবেন, সে জন্য সুস্থ শরীরে অচিরেই আপনাদের কাছে ফিরে আসতে পারে ।

  3. ক’দিন থেকে বাংলাদেশের মিডিয়ায় দেখছি একটি সংবাদ নিয়ে হৈ চৈ হচ্ছে – তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড অ্যার্লাট। মিডিয়া রেড অ্যার্লাট সংবাদ প্রচারের সাথে সাথে অনেকের ধারণা হয়েছে এই বুঝি পুলিশ গিয়ে তারেক জিয়া বা তারেক রহমান নামক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে নিয়ে এলো। বাস্তবে যারা এনিয়ে হৈ চৈ করছেন তারা জানেন না বৃটেনের আইন-আদালত সম্পর্কে। তারেক জিয়া বৃটেনে আছেন রাজনৈতিক আশ্রয়ে। রাজনৈতিক আশ্রয় একজন মানুষ তখনই অন্য দেশে নেয় যখন তার দেশের সরকার তার ওপর ক্ষুব্ধ থাকে এবং সে নিজ দেশে থাকাকে নিজের জন্য নিরাপদ মনে না করে। ইন্টারপোল যদি সত্যি এমন কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করে এবং সেই দেশের সরকার মনে এই মানুষ মুক্ত থাকলে মানবতার জন্য ক্ষতিকর তবে সেই দেশের সরকার তাকে গ্রেফতার করে জেলে বন্ধি করতে পারে। তবে সেই ব্যক্তির দেশে ফিরিয়ে দিতে সেই দেশ বাধ্য নয় যদি চুক্তি না থাকে। আর যদি চুক্তি থাকে তবে বাধ্য। তবে বৃটেনের অনেকগুলো মামলা আমার জানা মতে এমন আছে যে চুক্তি থাকার পরও ফিরিয়ে দেওয়া যায়নি মানবিক কারণে আদালত প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ানোর জন্য। এই মুহুর্তে আমার নাম স্মরণ নেই। তবে তিনি ছিলেন মক্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর। সৌদি রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার দায় তার উপর মৃত্যু দণ্ড জারি হলে তিনি পালিয়ে ইংল্যান্ড এসে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলেন। সৌদি সরকার তখন বৃটেনের কাছে দাবী করলো এই লোককে ফিরিয়ে দিতে। বৃটিশ সরকার প্রথমে অসম্মতি জানালে সৌদি সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলো বৃটেনের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে দিতে। বৃটিশ সরকার মক্কার ঐ ভদ্রলোককে অনুরোধ করলো বৃটেন ছেড়ে চলে যেতে। তিনি তাঁর প্রাণের নিরাপত্তার অভাব দেখিয়ে আদালতে বৃটিশ সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করলেন। শেষ পর্যন্ত আদালত রোল জারি করলো যেহেতু বৃটেনের বাইরে গেলে এই ভদ্রলোকের প্রাণের নিরাপত্তা নেই, তাই তাঁকে বৃটেন থেকে বের করা যাবে না। সরকার অবশেষে বাধ্য হয়ে তাঁকে রাজনৈতিক আশ্রয় এবং সরকারী সুযোগ সুবিধা দিতে বাধ্য হয়। বৃটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অতঃপর সৌদিতে গিয়ে সেখানের সরকারকে বিষয়টি বুঝিয়ে আসেন। যে মামলার রায় তৎকালিন সময় বৃটেনের প্রায় সকল মিডিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তারেক জিয়ার মামলাকেও শেষ পর্যন্ত এই পর্যায়ে নিয়ে বিবেচনা করলে স্পষ্ট যে ইন্টারপোল চাইলেও বৃটেনের আইন-আদালত ডিঙিয়ে তাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসতে পারবে না।

  4. ক’দিন থেকে বাংলাদেশের মিডিয়ায় দেখছি একটি সংবাদ নিয়ে হৈ চৈ হচ্ছে – তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড অ্যার্লাট। মিডিয়া রেড অ্যার্লাট সংবাদ প্রচারের সাথে সাথে অনেকের ধারণা হয়েছে এই বুঝি পুলিশ গিয়ে তারেক জিয়া বা তারেক রহমান নামক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে নিয়ে এলো। বাস্তবে যারা এনিয়ে হৈ চৈ করছেন তারা জানেন না বৃটেনের আইন-আদালত সম্পর্কে। তারেক জিয়া বৃটেনে আছেন রাজনৈতিক আশ্রয়ে। রাজনৈতিক আশ্রয় একজন মানুষ তখনই অন্য দেশে নেয় যখন তার দেশের সরকার তার ওপর ক্ষুব্ধ থাকে এবং সে নিজ দেশে থাকাকে নিজের জন্য নিরাপদ মনে না করে। ইন্টারপোল যদি সত্যি এমন কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করে এবং সেই দেশের সরকার মনে এই মানুষ মুক্ত থাকলে মানবতার জন্য ক্ষতিকর তবে সেই দেশের সরকার তাকে গ্রেফতার করে জেলে বন্ধি করতে পারে। তবে সেই ব্যক্তির দেশে ফিরিয়ে দিতে সেই দেশ বাধ্য নয় যদি চুক্তি না থাকে। আর যদি চুক্তি থাকে তবে বাধ্য। তবে বৃটেনের অনেকগুলো মামলা আমার জানা মতে এমন আছে যে চুক্তি থাকার পরও ফিরিয়ে দেওয়া যায়নি মানবিক কারণে আদালত প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ানোর জন্য। এই মুহুর্তে আমার নাম স্মরণ নেই। তবে তিনি ছিলেন মক্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর। সৌদি রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার দায় তার উপর মৃত্যু দণ্ড জারি হলে তিনি পালিয়ে ইংল্যান্ড এসে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলেন। সৌদি সরকার তখন বৃটেনের কাছে দাবী করলো এই লোককে ফিরিয়ে দিতে। বৃটিশ সরকার প্রথমে অসম্মতি জানালে সৌদি সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলো বৃটেনের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে দিতে। বৃটিশ সরকার মক্কার ঐ ভদ্রলোককে অনুরোধ করলো বৃটেন ছেড়ে চলে যেতে। তিনি তাঁর প্রাণের নিরাপত্তার অভাব দেখিয়ে আদালতে বৃটিশ সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করলেন। শেষ পর্যন্ত আদালত রোল জারি করলো যেহেতু বৃটেনের বাইরে গেলে এই ভদ্রলোকের প্রাণের নিরাপত্তা নেই, তাই তাঁকে বৃটেন থেকে বের করা যাবে না। সরকার অবশেষে বাধ্য হয়ে তাঁকে রাজনৈতিক আশ্রয় এবং সরকারী সুযোগ সুবিধা দিতে বাধ্য হয়। বৃটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী অতঃপর সৌদিতে গিয়ে সেখানের সরকারকে বিষয়টি বুঝিয়ে আসেন। যে মামলার রায় তৎকালিন সময় বৃটেনের প্রায় সকল মিডিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তারেক জিয়ার মামলাকেও শেষ পর্যন্ত এই পর্যায়ে নিয়ে বিবেচনা করলে স্পষ্ট যে ইন্টারপোল চাইলেও বৃটেনের আইন-আদালত ডিঙিয়ে তাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসতে পারবে না।