ব্রেকিং নিউজ
Home / অপরাধ জগৎ / একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে প্রথমে মুজাহিদ পরে সাকার ভাগ্য নির্ধারণ

একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে প্রথমে মুজাহিদ পরে সাকার ভাগ্য নির্ধারণ

একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর এবার দলটির সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের ভাগ্য নির্ধারণের পালা। এরপর রয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিল। মুজাহিদ একাত্তরে ছিলেন আলবদরের দ্বিতীয় প্রধান নেতা। মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে মুজাহিদের আপিল আবেদনটি গত ৬ এপ্রিল আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ছিল ৯ নম্বরে। একই দিনে আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আপিল ছিল ১০ নম্বরে। কিন্তু আগের মামলাগুলোর শুনানি শেষ না হওয়ায় এ দুটি মামলার বিষয়ে শুনানি হয়নি সেদিন।

এ প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম গতকাল রবিবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এবার আমি আশা করছি, এ বছরই আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ বেশ কয়েকটি যুদ্ধাপরাধের মামলা আপিল বিভাগে নিষ্পত্তি হবে।’ তিনি বলেন, ‘প্রথমে মুজাহিদের মামলা, এরপর সাকা চৌধুরীর মামলা।’
জানা যায়, মুজাহিদ ও সাকা চৌধুরীর আপিলসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা-সংক্রান্ত মোট ৯টি আপিল এখন আপিল বিভাগে শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ। এসবের মধ্যে আছে জামায়াতের আমির ও আলবদরপ্রধান মতিউর রহমান নিজামী, আবদুস সুবহান, মীর কাসেম আলী, এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিল। এ ছাড়া দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বর্তমানে ৯ ব্যক্তির বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা বিচারাধীন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের আপিলের ওপর শুনানির বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘কাদের মোল্লা ও কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় স্বস্তি অনুভব করছি। এবার আমি আশা করছি, এ বছরই আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ বেশ কয়েকটি যুদ্ধাপরাধের মামলা আপিল বিভাগে নিষ্পত্তি হবে।’ তিনি বলেন, ‘প্রথমে মুজাহিদের মামলা, এরপর সাকা চৌধুরীর মামলা। এরপর পর্যায়ক্রমে পরবর্তী মামলার শুনানি হবে।’
অ্যাটর্নি জেনারেল আরো বলেন, ‘এখন জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর কথা মনে পড়ে। সাঈদীর মৃত্যুদণ্ড না হওয়ায় আমার আক্ষেপ থেকে যাবে। পর্যাপ্ত তথ্য থাকার পরও তদন্ত সংস্থা এবং প্রসিকিউশনের গাফিলতির জন্য সাঈদীর ফাঁসি হলো না।’
একাত্তরে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য দুটি ট্রাইব্যুনাল রয়েছে। এ দুটি ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় পার্টির নেতাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে ১৭টি মামলার রায় হয়েছে। এসবের মধ্যে ১৪টি মামলায় আপিল হয়। তবে মারা যাওয়ায় জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযম ও বিএনপির আবদুল আলীমের আপিলের ওপর শুনানি হয়নি। তাঁদের আপিল পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদের মধ্যে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, আবদুল কাদের মোল্লা ও কামারুজ্জামানের আপিল নিষ্পত্তি হয়েছে। এখন ৯ জনের আপিল বিচারাধীন। এর মধ্যে মুজাহিদ ও সাকা চৌধুরীর আপিল কার্যতালিকায় এসেছে।
ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন পাঁচ মামলা : আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ মোট তিনটি মামলা বিচারাধীন। এসবের মধ্যে একটি মামলায় বাগেরহাটের রাজাকার খ্যাত সিরাজ মাস্টার, খান আকরাম, লতিফ তালুকদারের বিচার চলছে। এ ট্রাইব্যুনালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার (অপরাধের ঘটনাস্থল কিশোরগঞ্জ) পলাতক রাজাকার কমান্ডার সৈয়দ হাসান আলীর বিরুদ্ধে মামলায় যুক্তিতর্ক চলছে। এ ছাড়া নেত্রকোনার আতাউর রহমান ননি ও ওবায়দুল হক তাহেরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারকাজ শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ দুটি মামলা চলমান। একটি মামলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের মাহিদুর রহমান ও আফসার হোসেন চুটুর বিরুদ্ধে এবং অপর মামলায় পটুয়াখালীর ফোরকান মল্লিকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।

2 comments

  1. Allah! Please rescue the country from the tyranny.

  2. Allah! Please rescue the country from the tyranny.