বাংলাদেশে ইসলামী আন্দোলনের বিজয়ই জামায়াতে ইসলামীর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের শেষ ইচ্ছা বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
শনিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় কারাগারে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে শেষ সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন বলে তার বড় ছেলে হাসান ইকবাল ওয়ামি সাংবাদিকদের বলেন।
তিনি বলেন, ‘উনি সুস্থ আছেন, মনোবল শক্ত আছে। আমরা উনাকে হাসি মুখে বিদায় দিয়ে এসেছি। উনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।’
কামারুজ্জামানের বড় ছেলে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীসহ যারা এই বিচারকার্যের সঙ্গে জড়িত এবং যারা মিথ্যা সাক্ষী দিয়েছেন, তাদের বিচারের ভার আল্লার ওপর ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।’
শুক্রবার দুই ম্যাজিস্ট্রেটের কারাগারে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার বাবা বলেছেন- ওই দুই ম্যাজিস্ট্রেট তার সঙ্গে দেখা করেননি এবং তাদের সঙ্গে কোনো কথাও হয়নি। অথচ তারা কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে গণমাধ্যমের কাছে বলেছেন- আমার বাবা তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।’
ওয়ামি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা বিষয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে জানতে চাইলে উনি বলেন- রাষ্ট্রপতি প্রাণ দেয়ারও কেউ নন, নেয়ারও কেউ নন। এই মোনাফিকের কাছে প্রাণভিক্ষার কিছু নেই।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ের ১৮ বছরের এক কিশোরকে মিথ্যা অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হচ্ছে, এর জবাব বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম দেবে।’
‘শেষ ইচ্ছার ব্যাপারে জানতে চাইলে আমার বাবা বাংলাদেশে ইসলামী আন্দোলনের বিজয় দেখতে চেয়েছেন। জামায়োতে ইসলামী এবং ছাত্রশিবির যেন এই ইসলামের ধারাকে অক্ষুণ্ন রাখে। ইসলামের নিয়মনীতি মেনে চলে এবং ইসলামী আন্দোলনের বিজয়কে সুপ্রসারিত করে’ যোগ করেন কামারুজ্জামানের বড় ছেলে।
তিনি বলেন, ‘পরিবারে সদস্যদের ন্যায়ের পথে চলতে, সৎপথে চলতে এবং ইসলামের বিধি-বিধানগুলো মেনে চলতে বলেছেন উনি।’
কারাগার থেকে বের হলে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে কামারুজ্জামানের পরিবারকে বাধা দেয় পুলিশ। পরে প্রায় দুশ’ গজ দূরে এসে পুলিশের নিষেধ উপেক্ষা করে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ওয়ামি।