বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চলাফেরার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতাকর্মীদের মুক্তি ও নেতা কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রথ্যাহার করা হলেই আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট।
মঙ্গলবার দুপরে একান্ত কথোপকথনে এ কথা বলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নীতিগতভাবে নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু সরকারের মন্ত্রী- এমপিরা বিএনপিকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখার জন্য উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। অপরদিকে নির্বাচন কমিশনও শক্তিশালী ভূমিকা রাখছে না। তাই নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে কি না, সে বিষয়ে বিএনপিসহ দেশবাসীর মনে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।’
নোমান বলেন, ‘বর্তমান বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা জেলে আছেন, অনেকে আত্মগোপনে রয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে দেশের একটি বৃহত্তম রনাজনৈতিক দল কীভাবে নির্বাচনে যেতে পারে?’
বিএনপি যদি আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলে চলমান আন্দোলন বহাল থাকবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন আন্দোলনেরই একটি অংশ। তাই বিএনপি নির্বাচনে গেলেও আন্দোলন চলবে।’
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘সরকার ও নির্বাচন কমিশন বিএনপিকে কি নির্বাচনে দেখতে চায়?
আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিএনপির যে শর্তগুলো রয়েছে তা সরকারকে জানাতে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন- এমন প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, ‘এসব দাবি আগে থেকেই ছিলো। সরকার ও নির্বাচন কমিশনেরও এসব দাবি জানা রয়েছে। তারপরও এ শর্তগুলো জানাতে খুব শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন হতে পারে। তবে এ বিষয়টি এখনো আলোচনাধীন রয়েছে।’
সরকারের সঙ্গে সমঝোতা না হলে বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলেও সাফ জানিয়ে দেন আব্দুল্লাহ আল নোমান।