খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নেই সরকারের। তবে তার কার্যালয়ে পুলিশ তল্লাশী চালাতে পারে। ইতিমধ্যে পুলিশের কাছে আদালত থেকে সার্চ ওয়ারেন্ট পৌঁছে গেছে। খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করলে বর্হিবিশ্বের কাছে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে বলেই সরকার এ ধরনের সিদ্ধান্ত থেকে বিরত রয়েছে। তবে খালেদা জিয়াকে কার্যালয় থেকে বের করতে সব ধরনের কৌশল অবলম্বন করা হবে বলেও জানিয়েছে নির্ভরযোগ্য সূত্র।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, কূটনীতিকরা সরকার ও বিরোধীদলের সঙ্গে একটা একটি শান্তিপূর্ণ আলোচনা ও সমঝোতার জন্য যখন তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন,তখন এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিলে সরকার ভুল করবে। শান্তিপূর্ণ আলোচনাটা নষ্ট হবে। সরকারের উচিত নয় এখন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোন ভাবে অনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়া। তবুও দেখা যাক কি করে সরকার।
গুলশান জোনের ডিসি মো.লুৎফুল কবীর জানান, এখনো পর্যন্ত খালেদা জিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানা আসেনি। তবে খালেদা জিয়ার কার্যালয় তল্লাশীর জন্য আদালতের সার্চ ওয়ারেন্ট তাদের কাছে পৌঁছেছে।
দুটি গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক সূত্র জানায়, খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেই সরকারের তবে কার্যালয় তল্লাশী হবে।
সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, বর্হিবিশ্বের চাপ রয়েছে সরকারের প্রতি। সরকার কূটনৈতিক তৎপরতা সফল রাখার জন্যই এ সিদ্বান্তে যাচ্ছেনা। তবে খালেদা জিয়ার কার্যালয় থেকে তাকে বের করে আন্দোলন থেকে দূরে রাখার ব্যাপারে সব ধরনের চাপ তৈরি করবে সরকার। এদিকে গত মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন সময় বলে দেবে খালেদা জিয়াকে কখন গ্রেফতার করা হবে।
গুলশান জোনের ডিসি বলেছেন, সার্চ ওয়ারেন্ট হাতে এসেছে তবে কখন করা হবে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত উর্ধ্বতন মহল থেকে না আসা পর্যন্ত বলতে পারছি না। কিন্তু খালেদা জিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানা এখনো গুলশান রমনা কিংবা ক্যান্টনমেন্টের কোন থানায় এখনো পৌঁছায়নি।
গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে , খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে সিলগালা করা এবং আন্দোলন থেকে দূরে সরিয়ে রাখাই সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য। চলমান আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে সরকার সব ধরনের কৌশল চালাবে বলেও তারা জানান।