১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫: লিবিয়ায় অপহৃত ২১ মিসরীয় খ্রীষ্টানের শিরশ্ছেদ করেছে আইএস (ইসলামিক স্টেইট) সংশ্লিষ্ট একটি সংগঠনের সদস্যরা। রোববার ওই শিরশ্ছেদের ভিডিও প্রকাশ করা হয়। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, কালো পোশাক পরিহিত যোদ্ধারা অপহৃত খ্রীষ্টানদের শিরশ্ছেদ করছে। এ সময় অপহৃতদের গায়ে কমলা রংয়ের জামা ছিল। খবর আলজাজিরার।
বার্তায় বলা হয়েছে, শত্রুভাবাপন্ন মিসরীয় চার্চের ক্রুসেডারদের হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডকে ক্রুশসংবলিত জাতির প্রতি রক্তিম বার্তা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সংগঠনটির এক সদস্য ইংরেজিতে বলেন, মিসরে খ্রীষ্টান ক্রুসেডারদের হাতে মুসলিম নারীদের নির্যাতনের জবাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। পূর্ব লিবিয়ার সির্তে থেকে গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে ওই খ্রীষ্টানদের অপহরণ করা হয়।
এদিকে আইএস সংশ্লিষ্ট সংগঠনের এই হত্যাকাণ্ডের জবাব দেয়া হবে বলে উল্লেখ করেছেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। সিসি বলেন, ‘উপযুক্ত পন্থায় হত্যাকারীদের শাস্তি দেওয়ার অধিকার মিসরের রয়েছে।’
ভিডিওটি প্রকাশের পর পরই উচ্চপর্যায়ের এক জরুরি বৈঠক আহ্বান করেন সিসি। বৈঠকের পর দেশটিতে সাত দিনব্যাপী শোক ঘোষণা করেন তিনি। এ ছাড়া লিবিয়ায় মিসরীয়দের ভ্রমণও বাতিল করা হয়েছে।
হত্যাকারীদের শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারে ‘আস্থা’ প্রকাশ করেছে মিসরীয় অর্থডক্স চার্চ।
এ ঘটনায় কায়রোর বিখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানো হয়েছে। নিন্দা জানিয়েছে ইতালি, যুক্তরাজ্যও।
তিন বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় তৎকালীন লিবীয় প্রেসিডেন্ট মুয়াম্মার আল-গাদ্দাফির নিহতের পর থেকে দেশটিতে সংঘর্ষ চলে আসছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিদ্রোহীদের দমনে ব্যর্থ হচ্ছে।গত বছর দেশটিতে সশস্ত্র আন্দোলন চালানো আনসার আল-শরিয়া আইএসের প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করে।