কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ৫০ বাড়িতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে জামায়াতে ইসলামী।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান এ অভিযোগ করেন।
এ সময় দেশকে রাজনীতি শূন্য করার এবং পরিকল্পিতভাবে গণহত্যা চালানোর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সকল চক্রান্তের বিরুদ্ধে চলমান শন্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
ডা. শফিকুর বলেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী সরকার দেশে পরিকল্পিতভাবে গণহত্যা চালাচ্ছে। সরকার রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা বেছে বেছে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের হত্যা করছে।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের মন্ত্রী এবং এমপিরা প্রতিনিয়ত গুলি চালানোর ও বিরোধী দলকে নির্মূল, উৎখাত এবং নিশ্চিহ্ন করার ঘোষণা দিচ্ছেন। তাদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারদলীয় ক্যাডাররা দেশে অব্যাহতভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। প্রতিদিন ক্রসফায়ারের নামে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে।’
মানুষের বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়ে লুটপাট ও ভাঙচুর করা হচ্ছে অভিযোগ করে জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, ‘বুধ ও বৃহস্পতিবার কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবির নেতাকর্মীদের প্রায় ৫০টি বাড়িতে এবং খুলনা দক্ষিণ জেলার পাইকগাছা উপজেলার একটি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।’
এছাড়া বুধবার রাতে যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলায় জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের পাঁচটি বাড়িতে এবং গত ১ ফেরুয়ারি রাতে যশোর জেলার ঝিকরগাছা ও চৌগাছা এলাকার সাবেক দুই সংসদ সদস্য মকবুল হোসাইন ও মুহাদ্দিস আবু সাঈদের বাড়িতে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটতরাজ করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ডা. শফিকুর বলেন, ২০-দলীয় জোটের আন্দোলনে ব্যাপক জনসম্পৃক্ততা বেড়ে আন্দোলন যখন সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন সরকার দিশেহারা হয়ে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদী ও সহিংস আন্দোলন হিসেবে আখ্যায়িত করছে।
‘তাদের এই বক্তব্য প্রতিষ্ঠিত করার জন্য পরিকল্পিতভাবে দলীয় ক্যাডারদের দ্বারা নাশকতা সৃষ্টি করে তার দায় বিরোধী দলের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে’ অভিযোগ করেন তিনি।
জামায়াত সেক্রেটারির দাবি, ‘বুধবার রাত ১১টায় কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জগন্নাত দীঘি ইউনিয়নের কেসকি মোড় এলাকা থেকে যুবলীগ নেতা মানিক ও বাবুলকে পেট্রোল বোমাসহ পুলিশ আটক করার পর তাদের ছেড়ে দিয়েছে।’
এছাড়া আজও হরতাল চলাকালে সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার অভিযান চালিয়ে অন্যায়ভাবে জামায়াতে ইসলামীসহ ২০-দলীয় জোটের প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে অভিযোগ করেন তিনি।