ব্রেকিং নিউজ
Home / প্রচ্ছদ / তারেকের মুখ বন্ধ করিয়ে দিয়েছি : আইনমন্ত্রী

তারেকের মুখ বন্ধ করিয়ে দিয়েছি : আইনমন্ত্রী

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারের ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ার পর তিনি আর কথা বলছেন না। ওই নিষেধাজ্ঞার পর তিনি তার নিজস্ব টিভি, ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউবসহ নানা সামাজিক সাইটে যোগাযোগ করবেন এবং বক্তব্য প্রচার করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা এখনও বাস্তবায়ন করতে পারেননি। তিনি সামাজিক যোগাযোগ ও ওইসব যোগাযোগ মাধ্যমে এখনও ওইভাবে তার বক্তৃতা দেওয়া শুরু করতে পারেননি।

এদিকে প্রায় ৫০ হাজার নেতার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করার সিদ্ধান্ত নিলেও সেটাও এখনও করতে পারেননি। এই ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে নতুন তথ্য। জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক। তিনি বলেন, তারেক রহমান লন্ডনে বসে এতদিন নানা কথা বললেও এখন আর বলতে পারছেন না। কারণ তার মুখ বন্ধ। তিনি ওই দেশে বসে সরকারের বিরুদ্ধে ও বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে এবং প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যেসব কথা বলছিলেন এবং উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন সেটা আর করতে পারবেন না।

আপনি কি এই ব্যাপারে ব্রিটিশ সরকারের কাছে কোন অবেদন করেছেন জানতে চাওয়া হলে এই ব্যাপারে আইনমন্ত্রী বলেন, তার নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সবাই জানেন। এছাড়াও এটা বলা প্রয়োজন তিনি একটি দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে আছেন। সেখানে এই সংক্রান্ত আবেদনও করেছেন। এই অবস্থায় তিনি সেখানে বসে একের পর এক বক্তব্য দিয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতি খারাপ করার জন্য ও নাশকতার জন্য তার নেতা কর্মীদের উস্কে দিবেন সেটা হবে না। সেটাই আমি বন্ধ করেছি।

কেমন করে করেছেন বলা যাবে কিনা এই ব্যপোরে তিনি বলেন, এটা আমি বলতে চাই না। তবে এইটুকু বলতে চাই তিনি এখন কথা বলতে পারবেন না। তিনি কি আর কথা বলছেন? বলছেন না। আসলে বলতে পারবেন না। এটাই বড় কথা । আর সেটাই করা হয়েছে। কেমন করে করা হয়েছে সেটা না হয় নাই বা বললাম।

আপনিতো তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করছেন, সেটার কতদূর এগুলেন এই ব্যাপারে আইনমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক বলেন, আমিতো তাকে ফেরানোর জন্য চেষ্টা করছি না। তিনি এমন কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নন তাকে ফেরত আনার জন্য সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকতে হবে। তাকে সময় মতো ফেরত আনা হবে। সেটার জন্য আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ হবে। হচ্ছে। এই জন্য আমাকেই কেন কাজ করতে হবে। পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সেখানকার বাংলাদেশ হাইকমিশন কাজ করছে।

তাকেতো ফেরত দিবে না ব্রিটেন সরকার ? এই ব্যাপারে তিনি বলেন, ইংল্যান্ড সরকারের সিদ্ধান্ত আগেই বলার সুযোগ নেই। এই জন্য অপেক্ষা করতে হবে। দেখা যাক না কি হয়।

এদিকে তারেক রহমান এখন কোন কথা বলছেন না, একেবারেই চুপ হয়ে গেছেন এই ব্যাপারে জানতে চাইলে তার ঘনিষ্ট সূত্র জানায়, তারেক রহমান আপাতত বক্তৃতা করছেন না এটা ঠিক। কিন্তু এখন তার বক্তৃতা করার প্রয়োজন হচ্ছেন না। যখন প্রয়োজন হবে তখনই সেটা করবেন। এখন তিনি নেতা কর্মীদেরকে আন্দোলনের দিক নির্দেশনা দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত। তিনি অনবরত তার দলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন। প্রয়োজন সব ধরনের নির্দেশনা দিচ্ছেন। সেটা নানা মাধ্যমেই দিচ্ছেন। আপাতত ভিডিও কনফারেন্সও করার দরকার হচ্ছে না। এটা সময় মতো করবেন। কারণ এখন কোন মিডিয়াতে তার বক্তব্য প্রকাশ না করার জন্য আদালতের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এই জন্য তিনি চাইছেন না তার বক্তব্য প্রকাশ করে কোন মিডিয়া সরকারের রোষানলে পড়–ক। আবার তিনি এটাও চাইছেন না যে তিনি বক্তৃতা করবেন, সেটা গণমাধ্যমে প্রচার হবে না। মিডিয়াগুলো তাকে গুরুত্বহীন করে দিবে। এটা চাইছেন না। তাই এখন কোন অনুষ্ঠানেও ওই ভাবে যোগ দিচ্ছেন না। এখন তার লক্ষ্য হচ্ছে যে কোন ভাবেই আন্দোলন সফল করা। এই জন্য তিনি পরিকল্পনা করছেন আর দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন।

ইংল্যান্ড সরকারের তরফ থেকে তার বক্তৃতা করতে কিংবা কোন ধরনের রাজনৈতিক বক্তব্য সেখানে বসে দেওয়া যাবে না এমন কোন নির্দেশনা এসেছে কিনা জানতে চাইলে তার ঘনিষ্ট সূত্র জানায়, এই রকম অফিসিয়াল কোন নির্দেশনা তার কাছে নেই। সরকার মনে করছে তারা তারেক রহমানকে থামিয়ে দিয়েছে এটা সরকার দাবি করলেও এটা ইংল্যান্ড সরকার বাস্তবায়ন করেছে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে। কারণ ইংল্যান্ড সরকার বার বার বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানের জন্য বলছেন। সংলাপের জন্য বলছেন। সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে আসছেন। সেখানে তারা বিএনপিকেই গুরুত্ব দিচ্ছে। আর তারেক রহমান বিএনপির এখনকার দ্বিতীয় নেতা, আগামী দিনের এক নম্বর নেতা। তাকে থামানোর জন্য নির্দেশ দিবেন সেটা সরকার দাবি করতে পারে কিন্তু সেটা ঠিক নয়। তিনি বলেন, আসলে এখন তারেক রহমানের বক্তৃতা করার চেয়ে বড় হচ্ছে মাঠের নেতাদের নিরাপদ রাখা ও আন্দোলন চালিয়ে নেওয়া। সেটাই তিনি করছেন।

2 comments

  1. sabbas bakshali……

  2. sabbas bakshali……