দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে দলের মন্ত্রী ও এমপিদের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করলেন এরশাদ। বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দলের ভূমিকা কি হওয়া উচিত তা নিয়েই মূলত এ বৈঠক হয়।তিনি দলের এমপি ও মন্ত্রীদের কাছে মতামতও চেয়েছেন।সরকারে থাকা না থাকা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।তবে একটি সূত্র জানিয়েছে, ভারত সফর শেষে দেশে ফেরার পর এরশাদ একটি চমক দেখাতে পারেন।
রাজধানীর হোটেল রেডিসনে আজ দুপুরে অনুষ্ঠিত এ বৈঠক নিয়ে কঠোর গোপনীয়তা অবলম্বন করা হলেও শেষ পর্যন্ত তা আর গোপন থাকেনি।
তবে এরশাদ আগামীকাল মঙ্গলবার ভারত সফরে যাচ্ছেন, আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরবেন। দেশে ফিরেই এরশাদ একটা চমক দেখাতে পারেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।তবে কি চমক দেখাবেন এ নিয়ে বৈঠকে অংশগ্রহণকারী নেতারা কেউই মুখ খুলছেন না।
বৈঠকে এরশাদ মন্ত্রিসভার তিন সদস্যকে বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বেশি কথা না বলার জন্য সতর্ক করে দিয়েছেন। এছাড়া তিনি সব এমপিকে বুঝেশুনে পা-ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বৈঠকে অংশগ্রহণকারী এক সদস্য বলেন, আজকের (সোমবার) মধ্যাহ্নভোজে স্যার অনেক কথা বলেছেন। এরশাদ বলেছেন, অদৃশ্য শক্তি আজ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।দেশে আজ অশান্তি বিরাজ করছে।কি করে দেশে শান্তি ফিরে আসবে তা নিয়েও তিনি তাঁর অনিশ্চয়তার কথা জানিয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনকে ইঙ্গিত করে সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, উনি ৫ জানুয়ারি সমাবেশ করতে চাইলেন। তাকে কেনো সমাবেশ করতে দেয়া হলো না, জানিনা। দেননি ভাল কথা। কিন্তু তাঁর বাড়ির সামনে বালুর ট্রাক রেখে তাঁকে তালাবদ্ধ করে আবার লাইমলাইটে নিয়ে আসা হলো কেন? তাঁর রাজনীতি তো শেষ হয়ে গিয়েছিল। উনি আজ আন্দোলন করছেন নিজের জন্য।তবে আমরা এখন থেকে আমাদের দলের জন্য রাজনীতি করবে।”
এরশাদ আরো বলেন, জাতীয় পার্টির জন্য এখন কাজ করার বড় সুযোগ রয়েছে-উল্লেখ করে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে এরশাদ বলেন, “তোমরা কাজে নেমে পড়। এখনই কাজ করার সময়।”
ওই সংসদ সদস্য আরো বলেন,“এবার ভারত থেকে ফিরে আসার পর সরকারে জাতীয় পার্টি থাকবে কি না।সে বিষয়েও স্যার সকল এমপি ও মন্ত্রীর মতামত নিয়েছেন।”
অপর এক সংসদ সদস্য বলেন, বৈঠকে বেশ কয়েকজন এমপি ও মন্ত্রী দাবি করেছেন, সরকার থেকে পদত্যাগ করলে আগে স্যারকে পদত্যাগ করতে হবে। তা না হলে অন্যরা করবে না।”
বৈঠকে অনেকেই জাতীয় পার্টিকে পুরোপুরি বিরোধীদলের ভূমিকায় দেখার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।তবে অনেক এমপিই এর বিরোধীতা করে সরকারের সঙ্গে থাকার ব্যাপারে তাদের আগ্রহের কথা বৈঠকে জোরের সঙ্গে উল্লেখ করেছেন।
জানতে চাইলে এরশাদের প্রেস সচিব সুনিল শুভ রায় জানান, ‘দলের চেয়ারম্যান মন্ত্রী ও সাংসদদের দুপুরে খাওয়ার জন্য রেডিসনে দাওয়াত দিয়েছেন। এর বাইরে অন্য কিছু নয়। এটা গেট টু গেদার। তিনি আরও বলেন, স্যার আগামীকাল(মঙ্গলবার) ভারতে যাচ্ছেন একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে।
এর আগে সকালে সচিবালয়ে এক প্রতিমন্ত্রী বলেন, আজ স্যার আমাদের ডেকেছেন দুপুরে খাওয়ার জন্য এবং সেখানে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
ভাল
দুর্ভাগ্য এ জাতির, এরশাদ, রওশন আর হাছিনার মত অমানুষদের নেতা-নেত্রী হিসাবে দেখতে হচ্ছে ?