সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর কুলখানিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দাওয়াত দেবে বিএনপি। এ নিয়ে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত নেবে দলটি।
আজ বুধবার রাতে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ নিয়ে বৈঠক হবে। বৈঠকে থাকবেন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ঈস্কান্দারসহ পরিবারের সদস্যরা। এ ছাড়া বিএনপির বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতারও বৈঠকে থাকার কথা রয়েছে। তবে বৈঠকে খালেদা জিয়া থাকবে কি না সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য জানা যায়নি। এ বৈঠকে কুলখানির তারিখ ও প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, ‘আজ (বুধবার) গুলশান কার্যালয়ে আরাফাত রহমান কোকোর কুলখানির বিষয়ে বৈঠক হবে। এ বৈঠকে কবে কুলখানি হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীকে দাওয়াত দেয়ার বিষয়েও আলোচনা হবে।’
বৈঠকে খালেদা জিয়া থাকবে কি না জানতে চাইলে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী বলেন, ‘ম্যাডামের থাকার বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। তাঁর শরীরিক অবস্থার ওপর সব কিছু নির্ভর করছে। তিনি তো মানসিকভাবে এখনও সুস্থ না।’
কুলখানীতে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক সেনাপ্রধান ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে কোকোর কুলখানিতে দাওয়াত দেয়া উচিত। আমি দলকে এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছি। এখন দল সিদ্ধান্ত নেবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, ‘আরাফাত রহমান কোকোর কুলখানির বিষয়ে পরিবার সিদ্ধান্ত নেবে। এটা একান্ত পারিবারিক বিষয়। এ সম্পর্কে আমি কিছু বলতে পারবো না।’
তবে একটি সূত্রে জানা গেছে, আরাফাত রহমান কোকোর কুলখানি ও দোয়া-মাহফিল শুক্রবার বাদযোহর গুলশানের আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হতে পারে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার সকালে তার মরদেহ দেশে আনা হয়। বিকেলে বায়তুল মোকাররমে জানাযা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।