বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সমাবেশ শুরু হয়েছে।
সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে পবিত্র কোরআন, গীতা, ত্রিপিটক ও বাইবেল পাঠের মধ্যদিয়ে সমাবেশ শুরু হয়।
এরপর সমাবেশে প্রথমেই বক্তব্য দেন- ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নতির দিকে যাচ্ছে, আর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নাটক শুরু করেছেন।
নাজমুল বলেন, খালেদা জিয়া গুলশান কার্যালয়ে বসে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন এবং জনগণ সে আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার ওপর ভূত চেপেছে। ছাত্রলীগ জানে কীভাবে সেই ভূত ছাড়াতে হয়। কীভাবে শায়েস্তা করতে হয়। অচিরেই তার সেই ভূত ছাড়ানো হবে।’
ছাত্রলীগ সম্পাদক বলেন, খালেদার কু-পুত্র তারেক রহমান বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যে কটূক্তি ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন তার জন্য খালেদাকে ক্ষমা চাইতে হবে। ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট- আগামীতে বিএনপি দেশের কোথাও সমাবেশ করতে পারবে না।
নাজমুল আলমের বক্তব্য চলাকালীন সমাবেশে প্রবেশের চেষ্টাকালে রমনা কালিমন্দিরের গেট থেকে জসিম ও শাহীন নামে দুই যুবককে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ আটক করেছে পুলিশ।
এর আগে বেলা দুইটার দিকে বাংলা একাডেমির বিপরীত গেট দিয়ে যুবলীগের একটি মিছিল সমাবেশে প্রবেশের সময় পরপর তিনটি ককটেলের বিস্ফোরণ হয়। এতে তিনজন আহত হন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন জাতীয় সংসদের উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত আছেন- আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশাফুল ইসলাম, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, মতিয়া চৌধুরী, ওবায়দুল কাদের, কাজী জাফর উল্লাহ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।
বেলা একটা থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন দলীয় নেতাকর্মীরা। তারা বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢোকেন।