আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে সন্ধ্যা ৬টা থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর বিশেষ অভিযানও শুরু হয়েছে। ফৌজদারি অপরাধে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না’ জানিয়ে ডিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বিএনপি-আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সংঘাতময় পরিস্থিতি এড়াতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ অভিযান চালাবে।
এ ছাড়া সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাজধানীতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবি মোতায়েনের বিষয়টি জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহসিন আলী নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে সংঘাতের আশঙকায় রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে ইতিমধ্যেই বাড়ানো হয়েছে পুলিশের সংখ্যা।
এর আগে, ৫ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’পালনে সমাবেশ করার ঘোষণা দেয় বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। এদিকে, ৫ জানুয়ারিকে ‘গণতন্ত্র রক্ষা দিবস’ হিসেবে পালনের উদ্দেশ্যে একই দিনে সমাবেশের ঘোষণা দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও।
এ অবস্থায় রোববার বিকেল ৫ টার পর থেকে রাজধানীতে সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
সমাবেশ করতে না পারায় কেউ যেন রাজধানীতে নাশকতামূলক এবং ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য জনগণের জানমাল রক্ষায় রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি, গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিসহ নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে সকল ধরনের প্রতিরোধের ব্যবস্থাও নিয়েছে পুলিশ।
এর আগে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপি সকল ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। অনেক প্রস্তুতি গোপন রয়েছে। সময় হলেই সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এদিকে নিরাপত্তা জোরদার প্রসঙ্গে র্যাবের পরিচালক (মিডিয়া) মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ‘জনগণের জানমাল রক্ষায় র্যা্ব কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ইতিমধ্যেই র্যা।বের সব ব্যাটালিয়নের সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
তিনি এও জানান, রাজধানীতে টহলের পাশাপাশি, প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করবে র্যাব।
৫ জানুয়ারি সামনে রেখে সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাজধানীত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের মোতায়েন করা হচ্ছে।
রোববার বিকেলে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মহসীন রেজা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ঘুড়ে দেখা গেছে, পুরানা পল্টন, নয়া পল্টন, মতিঝিল, দৈনিক বাংলা, কাকরাইল, মালিবাগ, ধানমন্ডিসহ গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ফুটপাথের কোথাও দোকান বসতে দেয়া হচ্ছে না। রাস্তায়ও কাউকে থাকতে দেয়া হচ্ছে না।
এছাড়া সন্দেহ হলেই রিকশা, সিএনজি যাত্রীদের নামিয়ে তল্লাসী করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ৫ জানুয়ারিকে গণতন্ত্র হত্যা দিবস আখ্যা দিয়ে এদিন সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। অপরদিকে দিনটিকে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস আখ্যা দিয়ে রাজধানীতে পাল্টা সমাবেশের ঘোষণা দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও। এ পরিস্থিতিতে রোববার বিকেল ৫টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত রাজধানীতে সব ধরনের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করে ডিএমপি। পাশাপাশি রাজধানী জুড়ে নেয়া হয় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এর অংশ হিসেবেই নামানো হচ্ছে বিজিবি।