বিএনপি-আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সংঘাতময় পরিস্থিতি এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ যে কোন ধরনের ফৌজদারি অপরাধে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে পুলিশ। রাতেই নগরীতে বিজিবি মোতায়েন করা হবে।
এদিকে সংঘাতের আশঙ্কায় রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে ইতিমধ্যেই বাড়ানো হয়েছে পুলিশের সংখ্যা। এর আগে, ৫ জানুয়ারিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উল্লেখ করে এদিন রাজধানীতে সমাবেশ করার ঘোষণা দেয় বিএনপি। একই দিনে সমাবেশের ঘোষণা দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও।
তবে রোববার বিকেল ৫ টার পর থেকে রাজধানীতে সকল ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
সমাবেশ করতে না পারায় কেউ যেন রাজধানীতে নাশকতামূলক এবং ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না করতে পারে তাই জনগণের জানমালের রক্ষায় রাজধানীতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিসহ নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে সকল ধরনের প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপি সকল ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে। অনেক প্রস্তুতি গোপন রয়েছে। সময় হলেই সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।
নিরাপত্তা জোরদার প্রসঙ্গে র্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ‘জনগণের জানমাল রক্ষায় র্যাব কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ইতিমধ্যেই র্যাবের সব ব্যাটালিয়নের সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, রাজধানীতে টহলের পাশাপাশি প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চেকপোস্ট তৈরি করে তল্লাশি করা হবে।
এদিকে রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীতে বিজিবি মোতায়েন করা হতে পারে।