হুঙ্কারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ আর ছাত্রলীগে রণপ্রস্তুতি। চলছে ঢাকা মহানগর পুলিশেরও (ডিএমপি) লুকোচুরি। ৫ জানুয়ারি সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে না এখন অনেকটাই নিশ্চিত বিএনপি।
তবে এবার আর ছাড় দিতে রাজি নন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সমাবেশ সফল করতে সব বিকল্প বিবেচনায় রেখেই রাজপথে নামার অনড় সিদ্ধান্তের কথা নেতাদের জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
যে কোনো মূল্যে সমাবেশ সফল করার জন্য নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন ২০-দলীয় জোটনেত্রী। প্রস্তুতি নিয়ে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগও রাখছেন তিনি। কৌশল অবলম্বনে নানা পথও বাতলে দিচ্ছেন খালেদা জিয়া।
মূলতঃ ৫ জানুয়ারির কর্মসূচি নির্বিঘ্ন করতে গাজীপুরে ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন খালেদা জিয়া। অনুমতি পাওয়ার পরেও সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত তার নির্দেশেই বাতিল করে ছাত্রদল। তাই সোমবারের কর্মসূচিতে ছাড় দিচ্ছেন না তিনি।
বিএনপি সূত্র জানায়, ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বরের মতো গুলশানের বাসায় আটকে রাখার চেষ্টা করা হলে করণীয় ঠিক করে রেখেছেন খালোদ জিয়া। এক্ষেত্রে বাধা ডিঙ্গিয়ে সমাবেশে যোগ দেয়ার চেষ্টা করবেন তিনি। এতে ব্যর্থ হলে যেখানে বাধা দেয়া হবে, সেখানেই অবস্থান নিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
প্রসঙ্গত, ৫ জানুয়ারি একতরফা নির্বাচনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাকায় সমাবেশ করার অনুমোদন চেয়ে বেশ কয়েকদিন আগে ডিএমপিকে চিঠি দিয়েছে বিএনপি। অথচ সমাবেশের দুই দিনমাত্র বাকি থাকলেও এখনো অনুমতি মেলেনি।
তবে অনুমতি না পেলেও রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছে ২০-দলীয় জোট। এজন্য খালেদা জিয়ার নয়াপল্টনের অফিস কক্ষ সম্পূর্ণ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সমাবেশ যোগ দিতে গিয়ে তিনি সেখানে অবস্থান করতে পারেন।
জানা গেছে, খালেদা জিয়া সোমবার বেলা ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাবেন। ২০ দলীয় শীর্ষ নেতাদেরও ওই দিন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে থাকার নির্দশনা রয়েছে।
সমাবেশে বিষয়ে বিএনপির অনড় অবস্থানের সর্বশেষ ইঙ্গিত পাওয়া যায় দলের প্রচার সম্পাদক জয়নাল আবদিন ফারুকের মুখে। অনুমতি না পেলেও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের বিষয়ে দলের অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুমতি না পেলে গাজীপুরের মতো বিএনপি পিছু হটবে কিনা- শনিবার ডিএমপি কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ফারুক বলেন, ‘গাজীপুর আর ঢাকা এক বিষয় নয়।’