জাভা সাগরে বোর্নিও দ্বীপের কাছে এয়ার এশিয়ার কিউজেড৮৫০১ নম্বর ফ্লাইটের ৪০ যাত্রীর মৃতদেহের খোঁজ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। একই সঙ্গে বিমানের কিছু ধ্বংসাবশেষও পাওয়া গেছে। ইন্দোনেশিয়ার গণমাধ্যম মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য জানায়।
মঙ্গলবার সকালে তৃতীয় দিনের মতো সুমাত্রা এবং বোর্নিও দ্বীপের মধ্যবর্তী অঞ্চলে তল্লাশি শুরু করা হয়। কিছুক্ষণ পরই বিমানের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়া যায়।
ওই সময় এক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, ধ্বংসাবশেষগুলো ৯৫ শতাংশই কিউজেড৮৫০১ নম্বর ফ্লাইটের মতো। এরপর দুপুরের দিকে ছয়টি লাশের সন্ধান মেলে। পরে আশেপাশ থেকে আরো ৩৬ যাত্রীর মরদেহর সন্ধান মেলে।
সরকারি কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম জানায়, মৃতদেহগুলো ধ্বংসাবশেষের পাশেই ভাসছিল। তল্লাশি অভিযানে কমপক্ষে ৩০টি জাহাজ, ১৫টি বিমান এবং সাতটি হেলিকপ্টার অংশ নিচ্ছে। জাভা সাগর এবং এর আশপাশের স্থলগুলোকে ১৩টি জোনে ভাগ করে অভিযান চালাচ্ছে তল্লাশি দলগুলো।
ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়ার জুয়ানডা বিমানবন্দর থেকে যাত্রী নিয়ে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে স্থানীয় সময় রোববার সকাল ৭টা ২৪ মিনিটে এয়ার এশিয়ার ফ্লাইট কিউজেড৮৫০১-এর সঙ্গে জাকার্তা এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। জাভা সাগরের ওপরে থাকা উড়োজাহাজটির পাইলট তার মিনিট পাঁচেক আগেই মেঘের কথা বলে ৩২ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে ৩৮ হাজার ফুট উচ্চতায় ওড়ার অনুমতি চান। এর কিছুক্ষণের মধ্যে তার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কক্ষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এয়ারবাস ৩২০-২০০ মডেলের ওই উড়োজাহাজে ১৫৫ যাত্রী ও ক্রু মিলিয়ে ১৬২ জন আরোহী ছিলেন।
উড়োজাহাজটি উধাও হয়ে যাওয়ার পরপরই সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনেশিয়া অনুসন্ধান শুরু করে। অন্ধকার নেমে আসায় রোববার রাতে অভিযান সাময়িকভাবে স্থগিত করা হলেও সোমবার সকাল থেকে আবার শুরু হয় ব্যাপক তল্লাশি। ওইদিনও সন্ধ্যার পর অভিযান স্থগিত করা হয়।