নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের ঘটনায় আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নৃশংস সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন গ্রেফতার র্যাব-১১ এর সিপাহী আসাদুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কেএম মহিউদ্দিন ও মনোয়ারা বেগমের আদালতে পৃথকভাবে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আসাদুজ্জামান।
এর আগে গত রোববার আসাদুজ্জামানকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে মামলার তদন্তকারী সংস্থা নারায়ণগঞ্জ জেলা ডিবি।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুনুর রশিদ মন্ডল জানান, আসাদুজ্জামান সাবেক সেনা সদস্য ও র্যাব-১১ তে সিপাহী পদে কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার আসাদুজ্জামান সাত খুনের ঘটনায় দায়ের করা দু’টি মামলায় আদালতে পৃথকভাবে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত ২৭ এপ্রিল নাসিকের প্যানেল মেয়র নজরুল, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন। পরে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ৭ খুনের দু’টি মামলায় এ পর্যন্ত র্যাবের ১৭ জন সদস্যসহ মোট ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে তিন র্যাব কর্মকর্তাসহ ১৮ জন আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এছাড়াও ঘটনার সাক্ষী হিসেবে ইতোমধ্যে ১৬ জন আদালতে সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন। গত ২৭ এপ্রিল নাসিকের প্যানেল মেয়র নজরুল, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন। পরে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।