ব্রেকিং নিউজ
Home / প্রচ্ছদ / রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হত্যা: জড়িত সন্দেহে শিক্ষকসহ আটক ৪

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হত্যা: জড়িত সন্দেহে শিক্ষকসহ আটক ৪

Raj uni১৬ নভেম্বর, ২০১৪: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. এ কে এম শফিউল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রাজশাহী বিনোদপুর ইসলামিয়া কলেজের অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবীরসহ চার জনকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

রোববার দুপুরে তাদের আটক করা হয়। এর আগে শফিউল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় ওই এলাকা থেকে একটি পুরনো মোটরসাইকেল ও একটি রক্তমাখা চাপাতি (ধারালো অস্ত্র) উদ্ধার করে পুলিশ।

মহানগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রোববার দুপুর পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে ওই এলাকা থেকে ধারালো চাপাতি উদ্ধার করা হয়।

ওসি জানান, চাপাতির গায়ে রক্ত লেগে থাকায় প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে চাপাতিটি হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হয়েছে।

এদিকে ড. এ কে এম শফিউল ইসলামকে ’মুরতাদ’ উল্লেখ করে হত্যার দায় স্বীকার করেছে ‘আনসার আল ইসলাম-২’ নামের একটি সংগঠন।

শনিবার হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই এ হত্যার দায় স্বীকার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পেইজ খুলেছে সংগঠনটি।

তবে এর আগে এ সংগঠনের নাম কখনো শোনা যায়নি এবং তাদের কোনো কর্মকাণ্ডও দেখা যায়নি। বিষয়টি নজরে আসার পর থেকে হত্যার রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা।

আনসার আল ইসলাম-২ নামের ওই পেইজে ড. শফিউল ইসলামকে ‘মুরতাদ’ উল্লেখ করে বিভিন্ন বক্তব্য তুলে ধরা হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, “দাড়ি কাটা ও পাঞ্জাবি-পাজামা না পরার শর্তে শিক্ষক নিয়োগের পর ছাত্রীদের বোরকা না পরে ক্লাসে আসতে নির্দেশ দিয়েছেন বিভাগীয় চেয়ারম্যান ড. এ কে এম শফিউল ইসলাম। শনিবার ৩ এপ্রিল ২০১০, দৈনিক সংগ্রাম। “আজ এই মুরতাদ তার যথাযথ প্রতিদান পেয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।”

এতে ড. শফিউল ইসলামের ছবিতে লাল ক্রস চিহ্ন দেয়া একটি ছবিতে অপরাধ এপ্রিল ২০১০, শাস্তি প্রদান-নভেম্বর ২০১৪। We don’t forget. Insha’Allah we will not forget others উল্লেখ করা হয়।

এতে আরো বলা হয়, “আল্লাহু আকবার !!! আল্লাহু আকবার !!! আল্লাহু আকবার !!! আমাদের মুজাহিদীনরা আজকে রাজশাহীতে এক মুরতাদকে কতল করেছেন যে তার ডিপার্টমেন্টে ও ক্লাসে বোরকা পরা নিষিদ্ধ করেছিল। আল্লাহর ইচ্ছায়, আল্লাহর শক্তিতে ও আল্লাহর অনুমতিতে মুজাহিদীনরা আজকে এই মুরতাদকে কতল করেছেন। ইসলাম বিরোধী সকল নাস্তিক-মুরতাদ সাবধান !!!

উল্লেখ্য, শনিবার বিকালে বাসায় ফেরার পথে নগরীর বিহাস এলাকায় দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বিকেল ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।