• লুৎফুরকে দলে ফিরিয়ে নিতে এনইসিতে প্রস্তাব তুলবো -কেন লিভিংস্টন
• গরীব মানুষের কল্যানে কাজ করছেন লুৎফুর -জর্জ গ্যালওয়ে এমপি
• মিথ্যার বিরুদ্ধে সকলকে দাড়াতে হবে -লেবার নেত্রী ক্রিস্টিন সক্রফট
লন্ডনবাংলা ডেস্ক : এ যেনো নির্বাচন পরবর্তী সংবর্ধনা। সাদা-কালো-তরুন-বৃদ্ধ সবাই ছুটে এসেছেন মেয়র লুৎফুর রহমানের পাশে দাড়াতে। তাকে ডিফেন্ড করতে। উপচে পড়া জনতা ভীড় মুহুর্মুহু শ্লোগান আর করতালির মাধ্যমে মেয়র লুৎফুর রহমানের প্রতি তাদের সমর্থন পূনর্ব্যক্ত করেন। ডিফেন্ড ডেমোক্রেসি ইন টাওয়ার হ্যামলেটস এন্ড ডিফেন্ড মেয়র লুতফুর রহমান-এই শিরোনামে দেড় সহস্রাধিক মানুষের আন্তরিক উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হলো এই বিশেষ সমাবেশ। দুই দুই বার বিপুল ভোটে নির্বাচিত নির্বাহী মেয়রের এবং স্থানীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংসের পায়তারা রুখে দাঁড়াতে বিভিন্ন বর্ণ-ধর্মের নারী-পুরুষের ঢল নামে পূর্ব লণ্ডনের ওয়াটার লিলিতে। মেয়র লুৎফুর রহমানের প্রতি বহুমুখী অন্যায় আক্রমণ, অপবাদ, অবিচার এবং ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ফের ঐকবদ্ধ হয়েছেন টাওয়ার হ্যামলেটস বারাসহ সর্বস্তরের গণতন্ত্রকামী জনতা। এতে বক্তারা বলেন, এসব সিদ্ধান্ত গণতন্ত্র বিরোধী, উন্নয়ন বিরোধী, সর্বোপরি বারার জনগণের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধের সামিল। টাওয়ার হ্যামলেটসের বিরুদ্ধে চতুর্মুখী আক্রমণকে স্পষ্ট রেসিস্ট ও ফ্যাসিস্ট আক্রমণ বলে আখ্যায়িত করেন সমাবেশের বক্তারা। বক্তারা বলেছেন, বৃটেনের একমাত্র মুসলিম ও বিএমই মেয়র লুতফুর রহমানের বিরুদ্ধে একটির পর একটি আঘাত মেনে নেয়া হবে না। রাজনীতি ও মিডিয়া ইত্যাদি নানা পর্যায় থেকে টাওয়ার হ্যামলেটস এর প্রথম এই নির্বাহী মেয়রকে স্তব্ধ করার অপপ্রয়াস চালানো হচেছ। আমাদের সবাইকে এ ব্যাপারে সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে, জেগে উঠতে হবে সকল অন্যায় ও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে। মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি কমিউনিটি সেক্রেটারী কতৃক আর্থিক অডিট সংস্থা পি ডব্লিউ সি-র রিপোর্ট প্রকাশ এবং কোনো দুর্নীতি বা জালিয়াতি না পাওয়ার পরও চরম আক্রমনাত“ক ভাষায় মেয়র লুতফুর ও কাউন্সিলের সমালেচনার জবাবেই মূলত এই সবাবেশের আয়োজন। এতে বিবিসিসহ বিপুল সংখ্যক মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার উপস্থিতি ছিলো। বারা লেবার পার্টির সাবেক সেক্রেটারী স্টিভেন বেকেট ও স্পোর্টস ব্যক্তিত্ব সুরত মিয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক লন্ডন মেয়র লেবার পার্টির সর্বোচচ ভোটধারী নির্বাহী সদস্য ক্যানলিভিংস্ট। মেয়র লুতফুর রহমান ছাড়াও এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিভিন্ন ধর্ম, মত ও পথের স্থানীয় ও জাতীয় নেতৃবৃন্দ এবং শীর্ষ স্থানীয় প্রভাবশালী ইউয়িন নেতারা বক্তৃতা করেন। অংশ নেন ধর্মে অবিশ্বাসীরাও। অন্যতম অতিথিরা হলেন ব্রাডফোর্ড এমপি জর্জ গ্যালাওয়ে, লেবারের এনইসি সদস্য ক্রিস্টিন সক্রফট,স্টপ দ্য ওয়ার কোয়ালিশনের নেত্রি হিসেবে বিশ্বজুড়ে পরিচিত লিন্ডসি জার্মান,টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল অব মস্ক এর চেয়ার মাওলানা সামসুল হকসহ আরো অনেকে। সবশেষে মেয়র লুতফুর বক্তৃতায় এলে সবাই তাকে দাড়িয়ে করতালির মাধ্যমে সম্মান জানান। তিনি বলেন, আমার রাজনীতি হচেছ পরিবর্তনের রাজনীতি। সাদা, কালো, তরুন-বৃদ্ধ ধর্মে বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী সবার জন্য আমি কাজ করতে চাই। আমার এজেন্ডা হলো- সত্যিকারের উন্নয়ন নিয়ে আসা। আমার রেকর্ড জাতীয় ভাবে সেই কাজের স্বীকৃতি দিচেছ। কিন্তু আমি ইয়েস ম্যান হতে পারবো না, বড় বড় স্বার্থবাদীদের কল্যানে কাজ করতে পারবো না, এ কারনে আক্রমন, ষড়যন্ত্র চলবেই। কিন্তু আমি কাউকে ভয় পাইনা। ন্যায়নীতিকে সম্মান করি। আর বিশ্বাস করি জনগন যদি সাথে তাকে কেউ আমাকে দমাতে পারবেনা। আমি জানি, একমাত্র মুসলিম এবং একমাত্র বাংলাদেশী অরিজিন নির্বাহী মেয়র লন্ডনের কেন্দ্রবিন্দুতে, ক্যানারিওয়ার্ফের মতো ফাইনানশিয়াল সিটিতে ১. ২বিলিয়ন পাউন্ড বাজেটের নেতৃত্ব দেবেন-এটা অনেকের জন্য লজ্জার ব্যাপার। ওরগানাইজেশন ফর ডেমোক্রেসি এন্ড ফ্রিডম-এর আয়োজনে ১২ নভে“রের এই সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, যে জনগন প্রায় ৩৮ হাজার ভোটে তাকে নির্বাচিত করেছেন তাদেরকে তথা পৌনে তিন লাখ বাসীন্দাকে আর অসম্মান করা চলবে না। লুতফুর যে প্রগতিশীল এজেন্ডা নিয়ে কাজ হরছেন, সেই রেকর্ডের বিরুদ্ধে কথা বলতে হলে এরিক পিকলকে এসে এখানে নির্বাচন করে পরীক্ষা করা উচিত।
ক্যানলিভিংস্টন বলেন, এরিক পিকল আসলে কিছুই প্রমান করতে পারেননি মেয়র লুতফুরের বিরুদ্ধে। কিন্ত টোরি এবং একশ্রেনীর লেবার কোয়ালিশন করে তার উপর আক্রমন করছে। তাকে স্তব্দ করে দিতে চাইছে। লেবারের প্রভাবশালী নেতা ক্যান বলেন, আগামীতে তিনি মেয়র লুতফুরকে ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে দলের এনইসিতে প্রস্তাব তুলবো। মেয়র লুতফুর তো লেবার এজেন্ডা, গরীব মানুষের কল্যানের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন, তারপরও লেবার তার সাথে কাজ করছে না-এর চেয়ে লজ্জার আর কী হতে পারে-বলেছেন ব্রাডফোর্ড এমপি জর্জ গ্যালাওয়ে।
ক্রিস্টিন সক্রফট বলেন, লেবার পার্টি শুরুতেই প্রকৃত প্রার্থী হওয়ার পরও লুতফুরকে মনোনয়ন না দিয়ে অণ্যায় করেছে এবং এখন সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে, গনতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত মেয়রের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার চালাচেছ টোরি। সবাই এখনই সত্য বুঝতে হবে। মিথ্যার বিরুদ্ধে দাড়াতে হবে। মেয়র লুতফুর সাধারন মানুষের সমর্থনের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক লেবার সদস্যেরও সমর্থন পাচেছন, তার কাজের কারনে।
মাওলানা সামসুল হক বলেন, আমরা মেয়র লুতফুরের সাথে দৃড় ভাবে আকড়ে থাকবো। এটা কোনো ব্যক্তিগত বা জাতিগত বিষয় নয়, তিনি ভালো কাজ করছেন, বারার উন্নতি করছেন, এ কারনে।
সবাবেশের অন্যান্য বিশেষ বক্তারা হলেন: টাওয়ার হ্যামলেটস লেবার গ্রুপের সাবেক ডিপুটি লিডার প্রগতিশীল নেতা রাজন উদ্দিন জালাল, ৩শ হাজার সদস্যধারী ন্যাশনাল ইউনিয়ন অব টিচার্স (এনইউটি) এর নির্বাহী সদস্য এলেক্স কেনি, বৃটিশ বাংলাদেশ চে“ারের প্রেসিডেন্ট মাহতাব চৌধুরী ও গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল চেয়ার নুরুল ইসলাম মাহবুব,পিপুলস এসেমলির স্পোকস পার্সন ব্র্রডকাস্টার জনরিস, ইউনাইটেড ইস্ট এন্ড চেয়ার লেখক ড. গ্লিন রবিন্স, সাবেক চেলসি ফুটবলার মিকি আমব্রোস,লেফট ইউনিটির ন্যাশনাল সেক্রেটারী কেইট হাডসন,ভয়েস ফর জাস্টিস নেতা কে এম আবু তাহের চৌধুরী,জিএসসি-র সাবেক চেয়ার ব্যারিস্টার আতাউর রহমান,ন্যাশনাল ইউনিয়ন অব স্টুডেন্টনস (এন ইউএন) এর ব্ল্যাক স্টুডেন্ট অফিসার আরোন কেলি,ইউনাইটেড এগেইনিস্ট ফেসিজমের জয়েন্ট সেক্রেটারী ওয়াইম্যান বেনিয়েট,স্থানীয় গ্রেজুয়েট তরুনী সাবিকা মিয়া, টাওয়ার হ্যামলেটস ইউনিসনের সেক্রেটারী জন মেককোলানাজ,ইস্ট লন্ডন প্রাইডের নেতা কলিন উইসনসহ আরো অনেকে।
মেয়র লুতফুর রহমান:
এরিক পিকলের ভাষায় রটন বারা (খারাপ বার)-এর জবাব দিয়ে বলেন,আমরা দুইবার সারাদেশে সোস্যাল হাউজ নির্মানে ১ম হয়ে ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড পুরস্কার পাই,এই কী খারাপ বারা,পরিসখ্যান অনুযায়ী আমাদের তরুনরা এদেশের সেরা ভার্সিটে যাওয়ার ক্ষেত্রে ৭ম হয়েছে, আশপাশের কোনো বারার পাত্তা নেই-এর নাম কি রটন বারা। আমরা ইডিএল এর বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ন ভাবে দাড়াই, রায়ট সমস্যা থেকে মুক্ত থাকি, এর নাম কী রটন বারা। মেয়র বলেন, বিবিসি-র মতো মর্যাদাশীল পাবলিক টিভি স্টেশন নির্বাচনের ঠিক আগ মুহুর্তে প্যানোরামার মাধ্যমে আমার তথা একমাত্র মুসলিম বাংলাদেশী মেয়রের ক্ষতি করতে চেয়েছিলো,এটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। আমি মনে করি সাংবাদিকরা যে প্রফেশনালিজম এবং লিগেলিটিরি ট্রেনিং নেন-সেটা পেশা জীবনে কার্যকর করবেন। মেয়র বলেন,এরিক পিকল আমাদের বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতি প্রমান করতে পারেননি। আমাদের টিম এবং ১১ হাজার কর্মকর্তার সকলেই দায়িত্বশীল। তবে একটি লার্নিং কাউন্সিল হিসেবে দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে আমরা সবার সাথেই কাজ করতে চাই। তবে আমরা এও বিশ্বাস করি যে কোনো পাবলিক প্রতিষ্ঠানে এমন দুর্বলতা থাকতেই পারে।
সাবেক লন্ডন মেয়র ক্যানলিভিংস্টন:
ক্যান লিভিংস্টন কঠিন ভাষায় নিজের দলের একটি অংশের ভূমিকার সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, এই এলাকায় বাংলাদেশী নেতৃত্বের সম্ভাবনাকে ধ্বংস করতে ডিভাইড এন্ড রোল পলিসি ব্যবহার করা হয়েছে এবং হচেছ। ক্যান বলেন, ৫জন বিলিয়নিয়ার এদেশের মিডিয়া নিয়ন্ত্রন করেন। একটি আইন করে এদেরকে দমন না করলে, সোস্যাল জাস্টিসের পক্ষের মানুষেরা এভাবে আক্রমনের মুখে পড়তে থাকবেন। এই মিডিয়াগুলোই নির্বাচনে ভোটারদের প্রভাবিত করবে, নির্দেশনা দেবে। সমাবেশে সাবেক লণ্ডন মেয়র কেন লিভিংস্টোন কমিউনিটি সেক্রেটারী এরিক পিকলকে কোর্টে তোলার আহবান জানিয়ে বলেছেন, সর্বক্ষেত্রে লুতফুরের আউটস্ট্যাণ্ডিং রেকর্ড রয়েছে। লুতফুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বাঙালি কমিউনিটিতে বার বার ডিভাইড এন্ড রুলের সৃষ্টি করা হয়েছে। লুতফুর রহমান সেই ডিভাইড এন্ড রোলের শিকার। কেন লিভিংস্টোন টাওয়ার হ্যামলেটস বারার জনগণের অর্থ ব্যয়ে ব্যয়বহুল অডিটের সমালোচনা করে বলেন, পিডব্লিউসি টাওয়ার হ্যামলেটসের অনিয়ম খোঁজে পেলেও বিশ্ব ব্যাংকের অনিয়ম খোঁজে পায় না। তিনি ডানপন্থি মিডিয়ার সমালোনা করে বলেন, তারা লুৎফুর রহমানের ন্যায় আমার সাথেও অসদচারণ করেছে। কয়েকটি সংবাদপত্রে নাম ধরে তিনি বলেন, তারা আমাকে প্রায় দুর্নীতিপরায়ন, এন্টি সেমিটিক ও মদ্যপ বলে প্রচার করতো।
ব্রাডফোর্ড এমপি জর্জ গ্যালাওয়ে: বলেন, লুতফুরকে এভাবে আঘাত না করে লেবারের উচিত ফিরিয়ে নেয়া। এই আসনে যদি লুতফুরের দল টাওয়ার হ্যামলেটস ফাস্ট কোনো এমপি প্রার্থী না দেয়, তবে আমরা প্রার্থী দিয়ে লেবারের বিরুদ্ধে লড়তে বাধ্য হবো। বিভিন্নভাবে আলোচিত রাজনীতিবিদ জর্জ গ্যালওয়ে এমপি বলেছেন, আমরা প্রায় সবাই বহিঃস্কৃত লেবার। কিন্তু এই বহিঃষ্কৃত আমরাই বার বার লেবারকে পরাজিত করে আসছি। তিনি সাম্প্রতি মেয়র লুতফুর রহমানের রিরুদ্ধে আনীত অভিযোগকে রেসিস্ট ও ইসলামোফোবিক বলেও আখ্যায়িত করেন।
প্রগতিশীল নেতা রাজন উদ্দিন জালাল
স্থানীয় ষড়যন্ত্রকারী এবং রাইট উইং মিডিয়া সবাই মিলেই লুতফুরকে আঘাত করছে। এর সাথে লেবারের যুক্ত হওয়া নতুন কিছু নয়, এখানে বাংলাদেশী নেতৃত্বকে দমাতে সেই তিন দশক আগে থেকেই একশ্রেনীর লেবার নেতা ভূমিকা রাখছেন।
পিপুল এসেমলি নেতা জনরিস:
টোরি পার্টি আর এরিক পিকলের সহ্য হয় না, এই বারা ফান্ডিং কাটের বিরুদ্ধে ফাইট করে সফল হচেছ। এরিক পিকল ১.২ বিলিয়নের বাজেটধারী বারার মাত্র চারশ হাজার পাউন্ড বিতরনে দুর্বলতার কথা বলেছেন, কিন্তু তিনি যে বিলাসী লিমোজিন চালিয়ে এর চেয়ে একশ হাজার বেশী তথা ৫শ হাজার খরচ করেছেন, সেই তদন্ত করতে হবে। এতো সবের পরও আমি বিশ্বাস করি এই বারা গরীব মানুষের জন্য, ন্যায় বিচারের জন্য ফাইট করবে, কারন এটি একটি ফাইটিং বারা,এর মেয়র একজন ফাইটিং মেয়র।
এনইউটি নির্বাহী সদস্য এলেক্স কেনি
মেয়র লুতফুরের পাশে দাড়াতে হবে, কারন তিনি শিক্ষা ক্ষেত্রে যে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন সেটি অসাধারন। মিকি আমব্রোস ব্লাক কমিউনিটি নেতা সাবেক চেলসি ফুটবলার মিকি আমব্রোস বলেন, কিছু মিডিয়া যেভাবে মেয়র লুতফুরকে পরিচিতি করছে সেটি রাবিশ ছাড়া আর কী হতে পারে। আমরা দেখতে পাচিছ তিনি প্রকৃত পরিবর্তন নিয়ে আসছেন।
চেমবারের প্রেসিডেন্ট মাহতাব চৌধুরী
যে মিনিষ্টার চা বিস্কুটে খরচ করেন ৭২ হাজার পাউন্ড, লিমোজিনে খরচ হয় ৫শ হাজার পাউন্ড, সেই এরিক পিকলের ডিপাটম্যান্টের উপর একটি তদন্ত হওয়া উচিত। এছাড়া দু বার নিবাচিত মেয়রের বিরুদ্ধে টাওয়ার হ্যামলেটস লেবার এবং টোরির যে অশুভ ঐক্য, এর বিরুদ্ধে আমরা নিন্দা জানাই।
গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল চেয়ার নুরুল ইসলাম মাহবুব
আজকের বিশাল উপস্থিতি, বিপুল সাড়া প্রমান করে দিয়েছে-মেয়র লুতফুরের বিরুদ্ধে যে পলিটিক্যাল বোলি চলছে, তা জনগন রোখে দাড়াবে। তিনি শিক্ষা, হাউজিংয়-এর ক্ষেত্রে যে উন্নয়ন করছেন সেটি যে কেউ পুরো বারা ঘুরে বেড়ালে প্রমান পাবেন। অতীতের সাথে আজকের টাওয়ার হ্যামলেটস এর কোনো মিল নেই। এটা এমনি এমনি হয়। আমরা দেখেছি-কী ভাবে মেয়র লুতফুর কঠিন পরিশ্রম করে পরিবর্তন নিয়ে আসছেন।
ভয়েস ফর জাস্টিস নেতা কে এম আবু তাহের চৌধুরী
মেয়র লুতফুর হচেছন আমাদের ঐক্যের প্রতিক। পি ডব্লিউসি কিছুই পায়নি তার বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে যে চাপ সৃষ্টি করা হচেছ, এর নিন্দা জানাই।
জিএসসি-র সাবেক চেয়ার ব্যারিস্টার আতাউর রহমান
যারা মেয়র কে বলেন ডিভাইসিভ তাদের আজ এই সমাবেশে এসে দেখা উচিত, আসলে লুতফুর নয়, যারা পচা রাজনীতি করেন, যারা পেছনে থেকে ষড়যন্ত্র করেন, তারাই ডিভাইসিভ। তিনি বলেন, এভাবে চাপ সৃষ্টি করা মানে জনগনের গনতান্ত্রিক অধিকারের উপর আঘাত করা। আমরা এটা মেনে নেবোনা।
ন্যাশনাল ইউনিয়ন অব স্টুডেন্টনস নেতা:
ন্যাশনাল ইউনিয়ন অব স্টুডেন্টনস (এন ইউএন) এর ব্ল্যাক স্টুডেন্ট অফিসার আরোন কেলি বলেন,পুরো বৃটেনের ব্লাক স্টুডেন্ট কমিউনিটির সমর্থন থাকবে মেয়র লুতফুরের প্রতি। তিনি সত্যিকার অর্থে শিক্ষার জন্য নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখছেন। আমি নিজে লেবার পার্টির সদস্য, কিন্তু লুতফুরের সাথে যে বর্ণবাদ আশ্রিত আচরন করা হচেছ, তাতে টোরির সাথে লেবার যোগ দিয়েছে-এটা দু:খ জনক। ইএমএ, ইউনিভার্সিটি গ্রান্ট ইত্যাদির মাধ্যমে তিনি স্টুডেন্টদের প্রতি যে সমর্থনের জানান দিয়েছেন সেইসব ভূমিকার পরও আমাদের কিছু লোক প্যানোরামার মাধ্যমে তার ক্ষতি করতে চেয়েছে, কিন্তু পারেনি।
ওয়াইম্যান বেনিয়েট:
ইউনাইটেড এগেইনিস্ট ফেসিজম নেতা ওয়াইম্যান বলেন, ইডিএল এর বিরুদ্ধে সারাদেশে ২৪০টি র্যালী হয়েছে কিন্তু সবচেয়ে বড় ও বিশেষ মর্যাদার র্যালী হয়েছে টাওয়ার হ্যামলেটসে। এতে পেছনে মেয়র লুতফুরের ভূমিকা আছে এবং তিনবারই ইডিএল নেতা রবিনসর টাওয়ার হ্যামলেটসে আসার পরিকল্পনা করে ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু সেই লুতফুরকে আঘাত করে এরিক মূলত নাইজেল ফারাজ থেকেও ভিন্ন এটা প্রমান করার চেষ্টা করছেন। মুসলমানদের আঘাত করে ভোট বাড়ানোর এই এক প্রয়াস।