১৯ অক্টোবর ২০১৪: সিলেট: সড়ক সংস্কার, পুলিশের হয়রানী ও বিআরটিএ’র হয়রানী বন্ধ সহ পাঁচ দফা দাবিতে সিলেটের সকল রুটে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট শুরু হয়েছে। রোববার ভোর ৬টা থেকে এ ধর্মঘট শুরু করে সিলেটের বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিকরা।
জেলা প্রশাসনকে বেঁধে দেয়া সময় শনিবার শেষ হওয়ায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী তারা ধর্মঘট শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন শ্রমিক নেতারা। ধর্মঘটের ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দেশের নানা গন্তব্যে যাওয়া যাত্রীরা।
এদিকে পরিবহন ধর্মঘটে পিকেটিংকালে চারটি সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর করেছে বাস শ্রমিকরা।
নিবার্হী সভাপতি তেরা মিয়া বলেন, গতমাসের ১৮ তারিখ সিলেট জেলা প্রশাসকের কাছে পাঁচ দফা দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি দেন সিলেট জেলা পরিবহন মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা। তাতে তারা পুলিশের ও বিআরটিএ’র হয়রানী বন্ধ, সড়ক সংস্কার, সিএনজি অটোরিকশার চালকের আসনে গ্রিল দিয়ে বেস্টনি দেয়া এবং লেগুনার রুট পারমিট অনুযায়ী ১৭ কিলোমিটারের বেশি চলাচল করতে না দেয়ার দাবি জানানো হয়। এ সময় মালিক সমিতি ও শ্রমিকরা জেলা প্রশাসককে এক মাসের মধ্যে দাবি পূরন না হলে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডাকা হবে বলেও হুমকি দেন। প্রশাসন তাদের দাবি পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং গতকাল তাদের বেঁধে দেয়া সময় শেষ হবার পর আজ থেকে ধর্মঘট শুরু করেন মালিক-শ্রমিকরা।
সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের কোষাধ্যক্ষ আবদুল মালিক বলেন, সিলেটের প্রশাসন দাবি না মেনে উল্টো সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকদের গতকাল মাঠে নামিয়ে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন শ্রমিকরা। তবে তারা বলছেন, যত বাধাই আসুক না কেন তারা দাবি আদায়ে পিছিপা হবেন না।
এদিকে পরিবহন ধর্মঘটের ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী যাত্রীরা। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে স্বল্প গন্তব্যে চলচলকারীদের ক্ষেত্র বিশেষে দ্বিগুন থেকে দশগুন পর্যন্ত বেশি ভাড়া দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
গতকালের সংঘর্ষের পর ফের সংঘর্ষ এড়াতে নগরজুড়ে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।