১৭ অক্টোবর ২০১৪: বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার সাতছড়ি উদ্যানে পুলিশের বিশেষ বাহিনী বৃহস্পতিবার আবারও মেশিনগানসহ বেশ কিছু অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে।
গত পাঁচ মাসে র্যাব এই উদ্যানে মোট চার দফা অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালালো। কর্মকর্তারা বলছেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে উদ্যানের বিভিন্ন পাহাড়ে মাটি খুঁড়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ মিলেছে। তবে র্যাবের কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বিবিসিকে জানান এই অস্ত্র কারা নিয়ে আসছে তা এখনই বলা সম্ভব নয়।
এর আগে, এবছর ৩রা জুন থেকে ৪ঠা জুন পর্যন্ত প্রথম দফা অভিযান চালিয়ে র্যাব সাতছড়িতে আটটি বাঙ্কারের সন্ধান পায়। তখন এই বাঙ্কার থেকে একটি মেশিনগান, একটি রকেট লঞ্চার, পাঁচটি মেশিনগানের ব্যারেল, ২২২টি কামানের গোলা ও ২৪৮টি রকেটের চার্জার এবং বিভিন্ন ধরনের ১২৯৮৭টি গুলি উদ্ধার করা হয়।
পরবর্তীকালে ২৯শে আগস্ট থেকে ২রা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় অভিযানে নয়টি এসএমজি, একটি অটো রাইফেল, ছয়টি এসএলআর, দুটি এলএমজি, একটি স্নাইপার টেলিস্কোপ সাইট এবং ২৪০০ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করে র্যাব।
এরপর তৃতীয় দফায় সেখানে গোলাবারুদ পাওয়া যায় ১৭ই সেপ্টেম্বর। এবার ত্রিপুরা পল্লীর স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়ির পেছনে গোয়াল ঘরের নিচে থাকা বাঙ্কার খুঁড়ে ১৫ বস্তা গোলাবারুদ পাওয়ার কথা জানায় র্যাব। এর মধ্যে ছিল ১১২টি রকেট ও ৪৮টি রকেট চার্জার।
দেশের একটি মাত্র স্থানেই বার বার অভিযান চালিয়ে এত বিপুল পরিমান অস্ত্র পাওয়ার বিষয়টি রহস্যজনক নয় কি?
পুলিশের সাবেক আইজিপি নুরুল হুদা বলছেন, যদি নির্দিষ্ট তথ্য থাকে এবং সেই তথ্যের ভিত্তিতে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়, এবং যদি তা নিরপেক্ষ সাক্ষীর সামনে উদ্ধার হয়ে থাকে তাহলে এতে সন্দেহের অবকাশ থাকেনা।
এর মাধ্যমে বেআইনী অস্ত্র উদ্ধার হয়ে থাকলে তাতে নিশ্চয়ই জঙ্গীদের ততপরতায় কিছুটা ভাটা পড়বে বলেও মি. হুদা মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, যেহেতু এলাকাটি বাংলাদেশের মধ্যে, সেজন্য এখানে ভবিষ্যতে যাতে করে আরও অস্ত্র না আসতে পারে, সে বন্দোবস্ত করতে পারলে হয়ত আরেকবার এখানে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চালাতে হবেনা ।
এক্ষেত্রে যারা এই অভিযানে কাজ করছেন, তারাই এই অস্ত্রের উৎস সম্পর্কে ভাল বলতে পারবেন এবং তা বন্ধ করতে পারবেন বলে মন্তব্য করেন এই সাবেক আইজিপি।