১৪ অক্টোবর ২০১৪: ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে ব্রিটেনের হাউস অফ কমন্স।
সোমবার অনুষ্ঠিত ওই ভোটাভুটিতে পার্লামেন্টের অর্ধেকের ও কম সদস্য অংশ নেন। তবে, সরকার দলীয় মন্ত্রীরা ভোটদান থেকে বিরত থাকেন। ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার পক্ষে ২৭৪ ভোট পড়ে, আর বিপক্ষে ভোট পড়ে বারোটি। দেশটির লেবার দলের এমপি গ্রাহাম মরিস বলেন, এই জয় শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ।
লেবার পার্টির একজন এমপি জেরেমি করবিন ভোটের ফলাফলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে সংসদ শক্তভাবে ভোট দিয়েছে।
এর আগে ২০১২ সালে ব্রিটেন ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়া নিয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে অনুষ্ঠিত ভোটে ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় ষ্টেট ইউনিভার্সিটির সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলছেন, ভোটের এই ফলাফলের পর সহসাই ব্রিটেনের ইসরায়েল-ফিলিস্তিন নীতিতে কোন পরিবর্তন আসবে না। তবে তিনি মনে করেন, মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেবার ব্যপারে ব্রিটেনসহ পশ্চিমের দেশগুলোতে একধরণের পরিবর্তন ঘটছে, যা কিনা সামনের দিনগুলোতে পশ্চিমা দেশগুলোর নীতিনির্ধারণেও প্রভাব ফেলবে।
আর ব্রিটেনে এই ভোটাভুটিকে সেই পরিবর্তনের ইঙ্গিতবাহী বলেই মনে করেন মি. রিয়াজ।
ব্রিটিশ সংসদে বিতর্ক চলাকালে ফিলিস্তিনিদের অন্তহীন দুর্ভোগ ও দুর্দশার বিষয়টি তুলে ধরেন অনেক সংসদ সদস্য। সরকারি দলের যে সব এমপি ভোট দানে বিরত ছিলেন তাদের মধ্যে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনও রয়েছেন।
সুইডেন সম্প্রতি ফিলিস্তিনকে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়ার পর ব্রিটিশ সংসদে এ বিষয়ে বিতর্ক হলো। স্বাভাবিকভাবেই ব্রিটিশ সংসদের এ বিতর্কের প্রতি বিশ্বের নজর ছিল। সুইডেনের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইল। এ ছাড়া, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতির প্রশ্নে মার্কিন সমালোচনাকেও পাত্তা দেয় নি সুইডেন।
অবশ্য, ব্রিটিশ সংসদ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর ইউরোপের অনেক দেশই একই সিদ্ধান্ত গ্রহণে এগিয়ে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।