১৩ অক্টোবর ২০১৪: আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা ও দল থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়টিকে ‘আইওয়াশ’ বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, এই বাদ দেওয়া জয়কে কটাক্ষ করার জন্যও হতে পারে। অতীতে বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রিসভায় এ ধরনের রদবদল স্বাভাবিক ঘটনা।
প্রয়াত ভাষাসৈনিক আবদুল মতিন স্মরণে আয়োজিত শোক সভায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল নামের একটি সংগঠন এ স্মরণ সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি এম এ হালিম।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী যে অপরাধে অপরাধী, বাংলাদেশের ফৌজদারি দণ্ডবিধি অনুযায়ী তাঁর বিচার করা সম্ভব। তাই যতক্ষণ তাঁকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় না আনা হবে, বুঝতে হবে লতিফ সিদ্দিকীর অবস্থানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবস্থানের কোনো তফাত নেই।এ সময় গয়েশ্বর সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীর সমালোচনাও করেন। কয়েকজন মন্ত্রীর নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাঁরা বলেন, আমাদের নাকি আন্দোলনের ক্ষমতা নেই। আরে বাবা, আমাগো ক্ষমতা না থাকলে নাকে তেল দিয়ে ঘুমান না। এত বিড়বিড় কেন?’ তিনি বলেন, ‘এঁদের (ওই মন্ত্রীদের) কথা শুনলে মনে হয়, এঁরা নিজেরা আতঙ্কে আছেন। নিজেদের ছায়াকে ভয় পাচ্ছেন।’
ভাষাসৈনিক আবদুল মতিনকে স্মরণ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ভাষা-মতিন শুধু ভাষার জন্য যুদ্ধ করেন নাই, তিনি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্যও লড়াই করেছেন। তিনি অনেক কিছু নিয়ে জন্ম নিয়েছিলেন। দেশের জন্য ত্যাগে নিঃস্ব হতে হতে বিদায় নিয়েছেন তিনি।’
আবদুল মতিনকে যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া হয়নি উল্লেখ করে গয়েশ্বর বলেন, রাষ্ট্রের যাঁরা প্রতিনিধিত্ব করেন, ভাষা-মতিনের মর্যাদা বোঝার যোগ্যতা তাঁদের নেই। এ জন্যই তাঁকে যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়নি।’
সৌজন্যে: প্রথম আলো
অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আহমেদ আজম খান, স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।