১৩ অক্টোবর ২০১৪: মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স না কমানোর ব্যাপারে এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। প্রচলিত আইন সংশোধন করে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৬ বছর নির্ধারণের বিষয়টি বিবেচনা করছে মন্ত্রিসভা। সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ ধরনের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে এ অনুরোধ জানিয়েছে এইচআরডব্লিউ। অন্যদিকে ছেলেদের বিয়ের বয়স ১৮ বছর করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। ২০১৪ সালের জুলাইয়ে লন্ডনে কন্যাসন্তান বিষয়ক সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরে এইচআরডব্লিউ। সম্মেলনে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া ও ২০৪১ সালের মধ্যে বাল্যবিবাহ বন্ধের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৫ সালের আগে বাল্যবিবাহ ইস্যুতে জাতীয় পর্যায়ে কর্মপরিকল্পনা নেয়ার ব্যাপারেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল সরকার। একই সঙ্গে সামাজিক রীতিনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার মাধ্যমে সামাজিক মানদ- সমুন্নত রাখতে এবং বাল্যবিবাহ রোধে সুশীল সমাজকে সম্পৃক্ত করার বিষয়ে নানা পদক্ষেপ নেয়ার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ ছিল সরকার। মেয়েদের বিয়ের বয়স কমানোর আইন সংশোধন করা হলে তা হবে বাল্যবিবাহ কমাতে সরকারের দেয়া প্রতিশ্রুতির বিপরীত অবস্থান।
এদিকে মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে কমিয়ে ১৬ করার সরকারি সুপারিশের ঘটনাকে ‘ভুল পদক্ষেপ’ বলে মন্তব্য করেছে এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশন (এইচআরডব্লিউ)।
বাল্যবিবাহ রোধে সরকারের নেয়া একাধিক পদক্ষেপ তুলে ধরে সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশ বিয়ের বয়স কমাতে আইন সংশোধন করলে তা হবে বাল্যবিয়ের হার কমিয়ে আনার অঙ্গীকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এইচআরডব্লিউর নারী অধিকার বিষয়ক পরিচালক লিজেল গেনহলজ সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, ’বাংলাদেশে মেয়েদের বিয়ের বয়সের আইনসিদ্ধ সীমা কমিয়ে ১৬ বছর করা হলে তা হবে একটি ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ।’