১৩ অক্টোবর ২০১৪: রোববার দুপুরে মন্ত্রীত্ব হারানোর কয়েক ঘণ্টা পর আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যের পদ হারান লতিফ সিদ্দিকী। মন্ত্রীত্ব হারানো আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এখন ভারতে। দেশে ফেরার জন্য তিনি প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে সেই সবুজ সংকেত কে দেবেন, এ নিয়ে কিছু বলেননি অপসারিত এই মন্ত্রী।
পবিত্র হজ ও তাবলিগ জামাত নিয়ে কটূক্তির অপরাধে মন্ত্রীত্ব আর দলের গুরুত্বপূর্ণ পদ হারানোয় কোন আফসোস নেই তার, নড়চড় হয়নি তার অবস্থানেরও। এদিকে রোববার বিকেলে এয়ার ইন্ডিয়ার এক ফ্লাইটে তিনি কলকাতার দমদমের নেতাজী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। সেখানে তাকে স্বাগত জানান নি কেউ।
ঢাকার এক দৈনিককে টেলিফোনে দেয়া এক সাক্ষাতকারে রোববার আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি আমার জায়গা থেকে সরছি না। আমি আমার বিশ্বাসে অটল রয়েছি। আরও শক্ত কথা বলব। এ জন্য যে শাস্তিই দেওয়া হোক না কেন, তা মাথা পেতে নেব। আমি ধর্মদ্রোহী হবো। আমার রাষ্ট্রপতি কিংবা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ নেই। তবে সক্রেটিস হওয়ার সুযোগ আছে।’
মন্ত্রীসভা থেকে অপসারণে কষ্ট পেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে লতিফ সিদ্দিকী বলেন, কেন! মন্ত্রী পদে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিলে খুশি হবে আর অপসারণ করলে কষ্ট পাবো- এ কেমন কথা। অবশ্যই কষ্ট পাইনি। তাছাড়া দোষ তো আমার। যা-ই হোক, এসব নিয়ে আমার মাথা ব্যথা নেই।
আর দলের সভাপতিমণ্ডলীর পদ থেকে বাদ দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানান, কোন দুঃখ নেই। শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অবশ্যই মেনে নেবো।
তবে তিনি বহিষ্কারের বিষয়ে বলেন, দল থেকে একেবারে বহিষ্ফ্কার না করলে খুশি হবো। মন্ত্রী ও সভাপতিমণ্ডলী থেকে বাদ পড়লেও দলের একজন কর্মী হিসেবে আমার কাজ করার অধিকার থাকা উচিত। তবে আমার দল আমি করব। লেখালেখি করব। দল শোকজ করলে অবশ্যই জবাব দেব।
সূত্র: সমকাল