১১ অক্টোবর ২০১৪: শারিরীক অবস্থার অবনতি হওয়ার কারণে গোলাম আযম এখন সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) আছেন, তিনি কথা বলতে পারছেন না। এমনকি হাত-পাও ঠিকমতো নাড়াতে পারছেন না, তবে তার জ্ঞান আছে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে টেলিফোনে গোলাম আযমপুত্র আব্দুল্লাহ-হিল আমান আযমী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিকেলে আব্বাকে (গোলাম আযম) সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) নেওয়া হয়েছে। তিনি কথা বলতে পারছেন না, হাত-পাও নাড়াতে পারছেন না। তবে তিনি ডাকে সাড়া দিচ্ছেন। জ্ঞান আছে।
শুত্রুবার সন্ধ্যা পর্যন্ত হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, তিনি আশঙ্কামুক্ত। গোলাম আযমের ছেলে আব্দুল্লাহিল আমান আযমী জানান, তার বাবার নতুন করে কিডনি ও হার্টের সমস্যা দেখা দিয়েছে। আর অপুষ্টিজনিত কারণে তার শরীর একেবারে দুর্বল হয়ে পড়েছে। শরীরের অঙ্গ প্রত্যেঙ্গ নাড়াতে পারেন না, শ্রবণ শক্তি কমেছে, ঠিকভাবে কথাও বলতে পারেন না। তিনি বলেন, শুক্রবার সকালে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তারা কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করে আমাদেরকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন। গত মাসেও গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে গোলাম আযমকে সিসিইউতে পাঠানো হয়। সেই সময় তাকে প্রায় দুই সপ্তাহ সেখানে রাখতে হয়। ঢাকা সেন্ট্রাল জেলের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী জানান, গোলাম আযমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার বিকালে সিসিইউতে পাঠানো হয়। মানবতাবিরোধী মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর গোলাম আযমের ৯২ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।