১১ অক্টোবর ২০১৪: পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘হুদহুদ’ আজ বেলা সাড়ে ১১টায় ঘূর্ণিঝড় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৯৫০ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ৯৩০ কিলোমিটার এবং মংলা বন্দর থেকে ৮৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ ১৩০ কিলোমিটার এবং তা সর্বোচ্চ ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বয়ে যাচ্ছে।
শনিবার সকালে ঘূর্ণিঝড় ‘হুদহুদ’ পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে রোববার দুপুর নাগাদ ভারতের উত্তর অন্ধ্র–দক্ষিণ উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
ভারতে সম্ভাব্য আঘাত হানলেও হুদহুদের প্রভাবে বাংলাদেশের সবক’টি বিভাগেই বৃষ্টিপাতের কথা জানাচ্ছে আবহাওয়া অধিদফতর।
অধিদফতর বলছে, শনিবার সারাদিন ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, রংপুর ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বজ্র বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
‘হুদহুদ’ – এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলাগুলোসহ দ্বীপ ও উপকূলবর্তী নিম্নাঞ্চলে তিন ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। উপকূলীয় জেলাগুলো হল- চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা এবং সাতক্ষীরা। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ০৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সর্তকতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদেরা বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নৌযানগুলোকে দ্রুত উপকূলে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেগুলোকে নিরাপদ স্থানে অবস্থানের জন্য বলেছেন।
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ আইএমবি ঘূর্ণিঝড় হুদহুদকে মহাশক্তিশালী বা তীব্র মাত্রার ঘূর্ণিঝড় হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এটি রোববার অথবা পরশু সোমবারের মধ্যে সে দেশের ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা। ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় এ দুটি রাজ্যের সরকার ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু করেছে। উপকূলের নিম্নাঞ্চল থেকে অধিবাসীদের সরিয়ে নিরাপদ স্থানে আনা শুরু করেছে বলে জানা গেছে।